পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে শিক্ষামন্ত্রীর সম্মতি


Desk report | Published: 2023-09-21 18:20:41 BdST | Updated: 2024-05-18 08:56:01 BdST

পাবলিক হেলথকে কেন্দ্র করে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা। তাদের এ দাবির প্রতি সহমত পোষণ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, পাবলিক হেলথ বিষয়ক একটি বিশ্ববিদ্যালয় হতেই পারে। এমন একটি উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আমি আশা করি।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মহাখালীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম) অডিটোরিয়ামে ২০২৩-২৫ শিক্ষাবর্ষের পাবলিক হেলথ শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল বিষয় পড়ানো সম্ভব। এটি বিশেষায়িতও হতে পারে। বাংলাদেশে নানা বিষয়ের ওপর বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এটি একটি নির্দিষ্ট খাতকে অনেক এগিয়ে নিতে পারে। এক্ষেত্রে একটি পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় হতেই পারে। পৃথিবীতে পাবলিক হেলথে স্পেশালাইজড অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যেখানে এই খাতেই সর্বোচ্চ ফোকাস করা হয়।

পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদের দেশে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, নানাবিধ প্রকৃতিক দুর্যোগ, উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা, ডেঙ্গু-করোনার মতো নানাবিধ রোগে আমাদের দেশের মানুষদের ভুগতে হয়। এসব বিষয়ে পাবলিক হেলথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ বিষয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় এসব বিষয়ে গবেষণার সুযোগ বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।

তিনি আরও বলেন, একটা সময় আমরা পাবলিক হেলথকে এতটা গুরুত্ব দিতে চাইতাম না। কিন্তু করোনা মানুষকে পাবলিক হেলথের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে। এখনও আমরা ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে পাবলিক হেলথকে গুরুত্ব দিচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্রে এমপিএইচ করা চিকিৎসককে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। তারা পাবলিক হেলথ স্পেশালিষ্টকে এগিয়ে রাখেন। তাদের মতে একজন পাবলিক হেলথ বিশেষজ্ঞ সাধারণ চিকিৎসকদের তুলনায় সার্বিক পরিস্থিতি ভিন্নভাবে দেখেন। যা রোগীর পাশাপাশি হাসপাতালের সামগ্রিক উপকারে আসে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে পাবলিক হেলথের গুরুত্ব অপরিসীম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনায় আমরা পাবলিক হেলথের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। বর্তমানে দেশে জন সম্পর্কিত সকল বিষয়ে গবেষণা পাবলিক হেলথের চিকিৎসকরা করেছেন। তাদের আরও কাজ করতে হবে। এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্সসহ সকল জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গবেষণা করতে হবে। পাবলিক হেলথ বিশেষজ্ঞরা এসব বিষয়ে আমাদের সচেতন করবেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে নিপসম মহাপরিচালক মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা উপস্থিত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করেন। এ সময় পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। ইউজিসি চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্য বলেন, 'পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তাব গেলে পাস করে দিয়েন।'