যৌন হয়রানি অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন সেই প্রধান শিক্ষক


Desk report | Published: 2024-07-14 23:50:01 BdST | Updated: 2024-09-08 05:21:23 BdST

যৌন হয়রানির অভিযোগে ফরিদপুর জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নুল আবেদীন টিটন গ্রেপ্তার হয়েছেন। রোববার (১৪ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় জেলার কোতোয়ালি থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান অভিযুক্ত টিটনকে গ্রেপ্তারের তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

থানা পুলিশ এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নুল আবেদীন টিটনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে রোববার দুপুর ১১টায় বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী কোতোয়ালি থানায় উপস্থিত হয়। প্রধান শিক্ষক টিটনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তারা। পরে শিক্ষার্থীরা দুপুর পৌনে ২টায় জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি পুলিশ সুপারকে খুলে বলে। এরপর বিকাল সাড়ে ৩টায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ ওই প্রধান শিক্ষক টিটনকে গ্রেপ্তার করে।

অভিযুক্ত ওই টিটন ২০০৯ সাল থেকে আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে গত এক যুগের বেশি সময় ধরে বিশেষ করে দশম শ্রেণির ছাত্রীরা তার বিকৃত যৌন লালসার শিকার হয়েছে বলে জানা যায়। শ্রেণিকক্ষেই ছাত্রীদের গায়ে হাত দিতেন তিনি। নিজ বাসায় প্রাইভেট কোচিং করানোর সময় শিক্ষার্থীদের একাকী পেলে ছাত্রীদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়া, ফেসবুক মেসেঞ্জারে উত্তেজনাকর আলাপচারিতাসহ পর্ন ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে বশে আনতেন তিনি। ফাঁদে পড়ে তার সঙ্গে অনেক ছাত্রী ঘনিষ্ঠ হতে বাধ্য হয়েছেন।

সহসাই যারা তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতো তাদের টেস্ট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের উত্তর দিয়ে পাস করিয়ে দিতেন। আর যারা তার কুপ্রস্তাবে রাজি হতো না তাদের ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখাতেন। অবশেষে তার এ নৈতিকতা বিবর্জিত হীন মস্তিষ্কের বিকৃত লালসার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের সাবেক এবং বর্তমান ১০ম শ্রেণির সাহসী কিছু শিক্ষার্থীর প্রতিবাদে গ্রেপ্তার হলেন জয়নুল আবেদীন টিটন।

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, এসপি অফিসে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
গ্রেপ্তারের বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান বলেন, আদর্শ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক জয়নুল আবেদীন টিটনের বিরুদ্ধে থানায় যৌন হয়রানির অভিযোগ করে। এ অভিযোগের সত্যতা পেলে বিকেলে তাকে আমরা তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করি।