মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনী। কিডনীর মাধ্যমেই শরীরের সকল দূষিত ও অতিরিক্ত পদার্থ দূর হয়। কিডনীতে সমস্যা দেখা দেওয়া মানেই দীর্ঘদিনের অসুস্থতায় ভোগা। ক্ষেত্র বিশেষে যা হয়ে উঠতে পারে প্রাণঘাতিও!
কিডনীর রোগের খরচও আকাশছোঁয়া। তবে আগেভাগে জানতে পারলে কিডনী জরিত রোগ সারিয়ে পেলা যায় দ্রুত। তাই শরীর ঠিক রাখতে জেনে নিন ৭ টি লক্ষণের কথা, যার মাধ্যমে অসুস্থ কিডনীর খবর টের পাবেন আগেভাগেই।
শরীরজুড়ে চুলকানি
দীর্ঘদিন ধরেই ত্বকে র্যাশ? চুলকানির তীব্রতা কমাতে ওষুধ ও মলম মেখেও কাজ হচ্ছে না? জলদি ছুটুন ডাক্তারের কাছে। কারণ কিডনীর সমস্যা হলেই সাধারণত চুলকানি ভালো হতে চায় না।
মুখে নেই স্বাদ
কিডনীর জটিলতা অনেক সময় রক্তে দূষিত ও ক্ষতিকর পদার্থ ছড়িয়ে দেয়। এতে করে খাওয়ার সময় মুখের স্বাদ গায়েব হয়ে যেতে পারে অনেকেরই। আবার খেতে গেলে কটু একধরণের ধাতব স্বাদও মুখকে করতে পারে পানসে। এসময় তীব্র মুখের গন্ধ তৈরি হয়। এমন লক্ষণ দেখা দিলেই বুঝতে হবে কিডনীতে আছে গণ্ডগোল।
দ্রুত ওজন কমা
মুখে স্বাদ না থাকলে খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাবে- এটাই স্বাভাবিক। মুখে গন্ধ থাকায় খাবার খেয়েও বমি বমি ভাব হয়। ফলে দ্রুত কমতে থাকে ওজন।
প্রস্রাবের বেগ বারবার
ডায়াবেটিস না থাকলেও প্রস্রাবের বেগ বারবার আসাটাও কিন্তু ভালো লক্ষণ নয়। প্রস্রাবের পরিমাণেও তারতম্য দেখা যেতে পারে কিডনী ঠিকমতো কাজ না করলে।
প্রস্রাবে রক্ত
প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত আসা বা ঘন ফেনাযুক্ত প্রস্রাব হওয়াও কিডনীর অসুস্থতার লক্ষণ।
হাত-পায়ে পানি আসা
শরীরের অকিরিক্ত জলীয় উপাদান বের করে দেওয়া কিডনীর অন্যতম কাজ। কিন্তু বিকল হতে শুরু করলে এই কাজটিই কিডনী ঠিকমতো করতে পারে না। ফলে অতিরিক্ত জলীয় অংশ জমা হতে থাকে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ- হাঁটু, পা, পায়ের পাতা, বাহু ও মুখে। ফলে এসব অঙ্গে পানি আসলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখান।
দুর্বলতা
কিডনী বিকল হতে শুরু করলে আক্রান্ত ব্যক্তি রক্তশূন্যতায় ভুগতে পারেন। এতে শরীর হবে দুর্বল। কাজে গতি পাবেন না। এছাড়াও সর্দি-কাশির মতো সামান্য রোগও পিছু ছাড়বে না আপনার।
এসজে/ ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭