রোগ নিরাময়ে কালিজিরাকে বলা হয় মহৌষধ। জ্বর, কফ, গায়ের ব্যথা কিংবা ডায়াবেটিস, সকল ক্ষেত্রেই কালিজিরা যথেষ্ট উপকারী বন্ধু। কাজ করার শক্তিকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি তারুণ্য ধরে রাখতেও ভূমিকা রাখে এটি। প্রায় দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষ খাবারের সঙ্গে ‘কালিজিরা’ গ্রহণ করে আসছে। কালিজিরার তেলও আমাদের শরীরের জন্য নানাভাবে উপকারি। কালিজিরার তেলে ১০০টিরও বেশি উপযোগী উপাদান আছে। এতে আছে প্রায় ২১ শতাংশ আমিষ, ৩৮ শতাংশ শর্করা এবং ৩৫ শতাংশ ভেষজ তেল ও চর্বি। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত কালিজিরা খাওয়া উচিত।
১. মেধার বিকাশের জন্য কালিজিরার তেল কাজ করে দ্বিগুণ হারে।কালিজিরার তেলের উপকার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
২. এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান। পেটের যাবতীয় রোগ-জীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায়। যারা মোটা হতে চান, তাদের জন্য কালিজিরা উপকারী পথ্য।
৩. যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করে কালোজিরা: কালোজিরা নারী-পুরুষ উভয়ের যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কালোজিরা খেলে পুরুষের স্পার্ম সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এটি পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তির সম্ভাবনাও তৈরি করে।
৪. কালিজিরার তেলের উপকার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৫. কালিজিরায় থাকা অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল এজেন্ট শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংস করে। এই উপাদানের জন্য শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ হতে বাধা দেয়।
৬. জ্বর, কফ, গায়ের ব্যথা দূর করার জন্য কালিজিরা যথেষ্ট উপকারী বন্ধু।
৭. কাশি ও হাঁপানির উপশম, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, হৃদরোগের আশঙ্কা হ্রাস করে।
৮. চুল পড়া কমাতে ও ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে কালিজিরার তেলের তুলনা হয় না।
৯. যাদের শরীরে পানি জমা বা হাত-পা ফুলে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এই তেল বেশ উপকারী।
১০. দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালিজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে। জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে।
১১. ইনসুলিন রোধ হ্রাস করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
১২. কালিজিরা কৃমি দূর করার জন্য কাজ করে। তারুণ্য ধরে রাখে দীর্ঘকাল।