বিএনপি রমজান উপলক্ষে মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদেরকে উসকে দিতে চায়ঃ নাছিম


Dhaka | Published: 2022-03-11 04:40:20 BdST | Updated: 2024-05-03 11:13:39 BdST

"৭ই মার্চের ১০৮৫ শব্দ ও ১৯ মিনিটের বক্তব্যটি আপনাদেরকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে হবে।জিয়া চক্র ৭ই মার্চের ভাষণকে নিষিদ্ধ করেছিলো, তারা ৭ই মার্চের ভাষণকে ভয় পায়। এই ভাষণ দিয়ে মাত্র ১৮ দিনের ব্যবধানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলো বঙ্গবন্ধু । তারা এই ইতিহাসকে বিকৃত করতে চেয়েছে কিন্তু পারেনি৷"

আজ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বেলা ১২টায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এমন মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট খুনি মুশতাকদের কে সহায়তা করে বঙ্গবন্ধু কে সপরিবারে হত্যা করেছিলো। ৭২ এর সংবিধান কে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বেয়নেট দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছিলো ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সংবিধান কে নষ্ট করেছিলো। শেখ হাসিনা বিদেশ থাকার কারণে ৭৫ এর হত্যাকান্ড থেকে বেঁচে গিয়েছিলো। মুজিব বিহীন বাংলায় ২০০৮ সালে যখন শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেন, তখন ৭২ দিনের মাথায় বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়ে দেশকে ১টি অনির্বায গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছিলো। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে সেদিন দেশ রক্ষা পেয়েছিলো। আজ বাঙালি জাতি এগিয়ে চলছে কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই।

আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন,
ইউক্রেন-রাশিয়ায় যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এটাকে পুঁজি করে রমজান মাস উপলক্ষে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ানোর জন্যে এক শ্রেণির মুনাফাখোর ব্যবসায়ীকে উসকে দিতে চায়৷ বিএনপি বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের চেয়ে নিজেদের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়। এদের বিরুদ্ধে সরকার সজাগ আছে৷ সরকার বাজার মনিটরিং করবে। যাতে মানুষের দুঃখ-দূর্দশা সৃষ্টি করে কেউ লাভবান না হতে পারে। বিএনপি-জামাত যেখানে সেখানে দাড়িয়ে খাদ্যদ্রব্য বা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ে উসকানিমূলক কথা বলে। যখন বাংলাদেশে খাদ্যদ্রব্য নিয়ে কোনো অভাব নেই, সেখানে তারা বলে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে। তারা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, "জাতির পিতার ৭ই মার্চের ভাষণ কারো সাথে তুলনা চলে না। এই ভাষণ ছিলো ১টি পরিপূর্ণ ভাষণ। এই ভাষণ নিয়ে অপব্যাখ্যা দেয়া চেষ্টা হয়েছিলো, ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছিলো। পাকিস্তানি সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যারা মুক্তিযুদ্ধের আমাদের কাছে পরাজিত হয়েছিলো। তারা আমাদের জাতির পিতাকে হত্যা করেছিলো।"

এছাড়া সভায় বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক এডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সম্মানীত অতিথি হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু।

আলোচনা সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন এর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম ফরাজী।