আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমারে সহিংসতার নিন্দা জানানোর আগে বিএনপির উচিৎ ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে রাজনীতির নামে সরকার পতনের লক্ষ্যে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, যে সহিংসতা বাংলাদেশে ঘটিয়েছে সেটির জন্য করজোড়ে বাংলাদেশের মানুষ এবং বিশ্ব-সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাওয়া। এরপরেই তারা (বিএনপি) মিয়ানমারের সহিংসতার নিন্দা জানানোর অধিকার রাখে।
শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোল টেবিল মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ আয়োজিত ‘মানবতার কবি শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সমগ্র পৃথিবী আজ মিয়ানমারের সহিংসতা নিয়ে নিন্দার ঝড় তুলেছে, বাংলাদেশে যে সহিংসতা বেগম খালেদা জিয়া করেছেন এটি পৃথিবীর কোনো জায়গায় রাজনীতির নামে সরকার পতনের লক্ষ্যে, রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষ্যে এ ধরনের সহিংসতা হয় নাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অপারেশন সম্পর্কে রিজভী আহমেদের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং কুরুচির পরিচায়ক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গলব্লাডার অপারেশন হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা দেখানোর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসুস্থতা নিয়ে তিনি যে বক্তব্য রেখেছেন আমি তার নিন্দা জানাচ্ছি এবং এতে তার কুরুচির পরিচয়ের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নিপীড়িত, নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের দেখতে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘের নেতারা বাংলাদেশে ছুটে এলেন। এমনকি তুরস্কের ফার্স্ট লেডি পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের দেখতে চলে এলেন। লন্ডন থেকে ব্রিটেনের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা ছুটে এলেন, কিন্তু বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে আসতে পারলেন না। তিনি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আর এখানে মির্জা ফখরুল ইসলাম, রিজভী আহমেদ তারাও রোহিঙ্গাদের পাশে নাই। একমাস পরে রোহিঙ্গাদের শিবিরে গেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম, একমাস প্রেস ক্লাবের সামনে এবং বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বক বক করেছেন। রোহিঙ্গাদের দেখতে যাওয়ার সময় পাননি।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আজকে রোহিঙ্গা সমস্যায় বিশ্ব-সম্প্রদায় সোচ্চার হয়েছে -এটি বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে। শেখ হাসিনার কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে আজ বিশ্ব-সম্প্রদায় শেখ হাসিনার প্রশংসা করছে। তবে একমাত্র বিএনপি প্রশংসা করতে ব্যর্থ হয়েছে, কারণ বিএনপি প্রশংসা করার সংস্কৃতি লালন করে না।
রাজনীতি করতে হলে পরিবারের চেয়ে নিপীড়িত মানুষকে বেশি গুরুত্ব দিতে হয় মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতারা বলছেন তাদের নেত্রী (খালেদা জিয়া) নাকি অসুস্থ। কিন্তু তার কী হয়েছে, কোন ডাক্তারের চিকিৎসা নিচ্ছেন, কোন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, সে ব্যাপারে বিএনপি নেতারা কিছু বলছেন না। আসলে তিনি পরিবারের সঙ্গে অবসর সময় কাটাচ্ছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল হক আলো, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. হাবিবুর রহমান, ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিকসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাগোনিউজ২৪
এমএসএল