জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা ও হল ছাড়ার নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা জাবি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে মিছিল বের করে পরিবহন চত্বরে এসে বিক্ষোভ করেন তারা। এসময় ক্যাম্পাস থেকে ঢাকা রুটের বাস আটকে রাখেন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন,ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত তারা প্রত্যাখ্যান করছেন। উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলনে থাকবেন।
ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি নজীর আহমেদ জয় বলেন, অযৌক্তিক হল ভ্যাকেন্ট মানি না। যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছি। প্রশাসন যা করছে তা অন্যায়। আমাদের আন্দোলন চলবে, ক্যাম্পাস ত্যাগ করবো না।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে জাবি শাখা ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় অন্তত ২০/২৫ জন আহত হন। ৩৫ জন আহত হন। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
এদিকে জানা গেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং মধ্যরাতে ফের তাদের উপর হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক রায়হান রাইন বলেন, নিরাপত্তাহীনতায় আছি আমরা। জীবনের মায়া ত্যাগ করে ন্যায্য আন্দোলনের সাথে যুক্ত আছি। রাতে ফের হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কায় আছি।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন চত্বরে অবস্থান নিয়েছেন এবং সাধারণ ছাত্রদের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন। সকল বাধা অতিক্রম করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এসএম/ ০৫ নভেম্বর ২০১৯