ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে "ডিউ ক্রাশ এন্ড কনফেশন" পেইজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী রোমান্টিক কনফেশন লিখেছেন। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। বিশেষ করে আলোচনা হচ্ছে নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে। সাদ্দাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ডাকসু নির্বাচনে তিনি সর্বাধিক ভোট পেয়েছিলেন। আর ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তার পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে নারী ভোটাররা।
ওই কনফেশনে সাদ্দাম হোসেনের রাজনৈতিক মননশীলতা, আচরণ, বাচনভঙ্গি এর প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন এক ছাত্রী।
মনি মুক্তা নামের সেই ছাত্রী লিখেছেন, আমি জানি আমি সাহসী তাই নিজের নাম লিখতে ভয় পাইনি! আপনাকে প্রথম দেখেছিলাম বাইকে চালাতে। আমি নীলক্ষেত যাচ্ছিলাম আপনি পিছনে একটা ছেলেকে নিয়ে বাইক চালিয়ে আসছিলেন। তখন তো জানতাম না আপনি একদিন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হবেন। তবে এটা বুঝেছিলাম আপনি পলিটিক্স করেন কারন পিছনে আরো কয়েকটা বাইক ছিল।
"পরে আপনাকে নিয়ে বিস্তারিত জানা হয় যখন আপনি সাধারন সম্পাদক হন। পরে জানলাম আপনি এফ.আর হলে থাকেন। আমার এক ডিপার্টমেন্টের বড় ভাই আপনার পলিটিক্স করে। ভাইকে অনেক বার বলেছি আপনার সাথে একদিন দেখা করিয়ে দিতে কিন্তুু সে শুধু ব্যস্ত আর ব্যস্ত।"
"রোকেয়া হলের প্রায় অর্ধেক মেয়েই জানে আপনি আমার ক্রাশ! এমনকি আমার বয়ফ্রেন্ড ও জানে। শুধু আপনিই জানলেন না। যখন সবাই আপনাকে নিয়ে পঁচা কথা বলে। আপনার বদনাম করে তখন আমার খুব গা জ্বলে। এমনকি আপনার পড়াশুনা নিয়েও মানুষ কথা বলে। এতেও মেজাজ টা গরম হয়।"
"আমার খুব ইচ্ছা আপনার সাথে দেখা করবো আর আপনি আমার ফোন দিয়ে আমার সাথে একটা সেলফি তুলবেন। কিন্তু তা তো আর হচ্ছে না। আপনাকে আর পাই কই। আপনি তো পলিটিক্স নিয়ে ব্যস্ত! আর হ্যা মানুষের কথা কানে নিতে হবে না। নেতা সবাই হতে পারেনা। নেতা হতে গেলে অনেক কিছু বিসর্জন দিতে হয়।"
"আপনার জন্য মন থেকে দোয়া করি। আমি কিন্তুু পলিটিক্স করি না যে আপনাকে হাওয়া দিবো বা তেল দিবো পদ পাওয়ার লোভে৷ কিন্তুু আপনি যদি কোনোদিন আমাকে বলেন যে "তুমি রাজনীতি করো, তোমার মেধাকে রাজনৈতিক কাজে লাগিয়ে মানুষের সেবা করো তবক আমি ঠিক রাজনীতি করবো।" চিন্তা করবেন না আমি কিন্তুু রাজনীতি বিজ্ঞানেরই ছাত্রী, রাজনীতি নিয়ে পড়াশুনা করা মেয়ে। আমার পদের লোভ নেই। তবে পরিবর্তন আর ভালো কিছু করার ইচ্ছা তো অবশ্যই আছে। তবে এইসব রাজনীতি পরের কথা। আগে তো বলবো খুব সাধারণ করে যে - আপনাকে আমার ভালো লাগে। আমি কিন্তুু লুইচ্চা না। আপনাকে ভালো লাগে শুধু। এই ভালো লাগাটা সুন্দর, স্বাভাবিক এবং শৈল্পিক! আপনি না হয় ক্যাম্পাসে জারুল হবেন, আর আমি হবো জারুলের বেগুনি রং!"
কমেন্ট বক্সে সাদ্দাম প্রতিউত্তরে লিখেছেন, "দেখা হলে কথা বলো এবং সুন্দর, স্বাভাবিক ও শৈল্পিক চা খেয়ে যেও! রাজনীতি কর বা না কর, জীবনে ভালো কিছু কোরো। জারুলের বেগুনি রঙ দেখলে এরপরে তোমার কথা মনে পড়লেও পড়তে পারে! সুন্দর লেখা আর ভাবনার জন্য ভালোবাসা।"
ঢাবি ছাত্রলীগের এই সাধারণ সম্পাদক তার মননশীল রাজনীতি, মনমুগ্ধকর যৌক্তিক বক্তব্য, শিক্ষার্থীদের সাথে অমায়িক আচরণের কারণে ব্যাপক জনপ্রিয়।
তিনি গত নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন ঢাবির পাঁচ ছাত্রী হলে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কোন প্রার্থীর জয়ের জন্য ছাত্রীরা ছিল অন্যতম নিয়ামক শক্তি।
সর্বাধিক ভোটে জয় পেলেও সবচেয়ে কম প্রচারণা করেছিলেন ডাকসুর এই এজিএস।