রাবিতে সাড়ে ৯৬ কোটি টাকার নির্মাণ কাজ শুরু


টাইমস প্রতিবেদক | Published: 2018-05-05 22:40:33 BdST | Updated: 2024-05-03 06:21:39 BdST

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে একাডেমিক ভবন, আবাসিক হল, শিক্ষক কোয়ার্টারসহ মোট ১০টি ভবনের কাজ শুরু হয়েছে। এতে পূর্বে শুরু হওয়া ৫টি ভবনের বাকি অংশের কাজ পুরোপুরি সমাপ্ত হওয়াসহ নতুন ৫ ভবন দৃশ্যমান হবে এ বছরেই। কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৯৬ কোটি টাকা।

বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতরের তথ্য মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বিজ্ঞান ভবনের ৪র্থ তলা, কৃষি অনুষদ ভবেনর ৪র্থ তলা, ইসমাইল হোসেন শিরাজী ভবনের নিচ থেকে ৪ তলা, চারুকলা অনুষদের ৩য় তলা, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা হলের বাকি ৩ তলাগুলোর কাজ শুরু হয়েছে এ বছরের জানুয়ারি মাসে। আগামী ১৮ মাসের মধ্যেই অর্থাৎ আগামী ২০১৯ সালের জুলাইয়ের দিকে ভবনগুলোর কাজ শেষ হবে।

এদিকে নির্মিতব্য ১০ তলা বিশিষ্ট শেখ হাসিনা হল ও শহীদ কামারুজ্জামান হল, ২০ তলা বিশিষ্ট প্রধান বিজ্ঞান ভবন, স্বল্প আয়তনের ১০ তলা বিশিষ্ট শিক্ষক কোয়ার্টার, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৪ তলা বিশিষ্ট ডেমোনেস্ট্রেশন ভবনের প্রাথমিক কাজ তথা নকশার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। জায়গা নির্ধারণের পর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আগামী দুই তিন মাসের মধ্যেই ঠিকাদারকে কাজ বুঝিয়ে দেয়া হবে। আর জুলাইয়ের মধ্যে ভবনগুলো দৃশ্যমান হবে বলেও জানায় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতর।

একদিকে পুরাতন ভবনের কাজ শুরু ও নতুন ভবন দৃশ্যমান হতে যাওয়ায় শ্রেণিকক্ষ সংকটসহ অনেকাংশে আবাসিক সমস্যাও সমাধান হবে বলে জানাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে ক্রপ সায়েন্স ও টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক আলী আসগর বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষ সংকট একটি বড় সমস্যা। আমরা আশা করছি উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত হলে সেই সমস্যা থেকে শিক্ষার্থীরা উত্তরণ পাবে। তবে কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানান তিনি।

জানা যায়, ১৯৯৮ সালের দিকে ৪র্থ বিজ্ঞান ভবন ও কৃষি অনুষদ ভবনসহ ৫টি ভবনের কাজ শুরু হয়। বেশ কয়েকটি মেয়াদে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে ভবন নির্মাণের কাজ। তবে অর্থ সংকটে বাকি অংশের কাজ বেধে ছিল। প্রায় ২০ বছর পর কাজটি শেষ হতে যাচ্ছে। এ কাজে মোট ৯৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে বলে জানান পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতরের পরিচালক আফসার আলী।

আফসার আলী বলেন, দেশের প্রাচীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলেও এখানে পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত সমস্যা বিদ্যমান। শ্রেণিকক্ষ সংকট অনেক পুরাতন বিভাগেরও আছে। অপর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা অন্য একটি বড় সমস্যা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চেষ্টা করে যাচ্ছে অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা বাড়াতে। কোনো রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হলে যথা সময়ে কাজ শেষ করতে পারব।

এইচআর/ ০৫ মে ২০১৮