৬৭ বছরে প্রথম নারী ডিন পেল রাবির বিজ্ঞান অনুষদ


RU Correspondent | Published: 2023-12-19 12:58:12 BdST | Updated: 2024-05-06 07:49:44 BdST

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ১৯৫৬ সালে বিজ্ঞান অনুষদ প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর প্রথম নারী ডিন হলেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক নাসিমা আখতার। এছাড়া তিনি গণিত বিভাগের প্রথম নারী সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরি ভবনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদা দলের প্রার্থী অধ্যাপক মতিয়ার রহমানকে হারিয়ে ডিন নির্বাচিত হন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম ঘোষিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা যায়।

নাসিমা আখতার চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাটাইডুবী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন বগুড়ার সরকারী মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজ থেকে। পরে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগ থেকে ১৯৮৭ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্নাতক, ১৯৮৮ সালে বিজ্ঞান অনুষদের ফ্যাকাল্টি ফার্স্ট হয়ে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৯৫ সালে কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।

অধ্যাপক নাসিমা আখতার ১৯৯৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৭ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতির পর ২০১১ সালে তাপসী রাবেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ হন। ২০১২ সালে তিনি প্রাধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হন। ২০১৪ সালে সিনেট সদস্য এবং ২০১৬ সালে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির নির্বাচিত সদস্য। এর আগেও তিনি স্টিয়ারিং কমিটির নির্বাচিত সদস্য ছিলেন।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তার লেখা প্রায় ২৫টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। টপোলজি ও পারসিস্টেন হোমোলজি প্রভৃতি তার গবেষণার বিষয়।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. নাসিমা আখতার বলেন, ডিন একটা একাডেমিক পদ। সে হিসেবে অনেক কিছু করার থাকে। আমি প্রথম দল থেকে নমিনেশন পেয়েছি এবং নির্বাচন করেছি। যেহেতু আমি ডিন হয়েছি আমার দেখতে হবে কীভাবে শিক্ষকদের গবেষণার দিকটি এগিয়ে নেওয়া যায় বা কী কী সুবিধা দিলে গবেষণা আরও বেগবান হবে। অনেক সময় বিভিন্ন বাধা থাকে। যেমন গবেষণার যন্ত্রপাতি। এগুলোর ক্ষেত্রে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো অনুষদ থেকে সহযোগিতা করার। কারণ গবেষণায় উন্নত হলে বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত হবে।

নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিটা সেক্টরে নারীরা ভালো করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে নারীরাও আসবে। যাদের যোগ্যতা আছে আমি আসা করি সকলেই আসবে।