শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি: রাবি শিক্ষার্থীর প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক প্রত্যাখ্যান


RU Correspondent | Published: 2024-01-14 08:57:58 BdST | Updated: 2024-05-02 09:22:54 BdST

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রতিবাদস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক প্রত্যাখ্যান করেছেন সাবেক শিক্ষার্থী মো. নুরুল হুদা। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই ঘোষণা দেন তিনি।

নুরুল হুদা জানান, তিনি ২০১৪ সালে এলএলবি (সম্মান) পরীক্ষায় সিজিপিএ-৩.৬৫ এবং ২০১৫ সালে এলএলএম (মাস্টার্স) পরীক্ষায় সিজিপিএ-৩.৬০ অর্জন করেন। এলএল.বি (সম্মান) পরীক্ষার ফলাফলে আইন অনুষদে প্রথম স্থান অর্জন করায় ২০১৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক এবং ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক অর্জন করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে মো. নূরুল হুদা বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত প্রার্থীদেরও শিক্ষকদের পেছনে ধরনা ধরতে হয় কিংবা অর্থ লেনদেন করতে হয়। প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত হয়েও নিয়োগের জন্য শিক্ষকদের পেছনে ধরনা ধরা কিংবা অর্থ লেনদেন করা প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকের অবমাননার শামিল।’

সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে আক্ষেপ করে নুরুল হুদা আরও বলেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত পূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের প্রায় ৩ বছর পার হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত আইন বিভাগসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমি আইন বিভাগসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক প্রত্যাখ্যান করছি।

সংবাদ সম্মেলন শেষে পদক প্রত্যাখ্যান প্রসঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ইউজিসি চেয়ারম্যান বরাবর দুইটি পৃথক স্মারকলিপি দিয়েছেন সাবেক এ শিক্ষার্থী।