হলে সিট দিলেন প্রাধ্যক্ষ, নামিয়ে দিলেন ছাত্রলীগ নেতা


RU Correspondent | Published: 2024-01-18 08:08:24 BdST | Updated: 2024-05-02 13:08:59 BdST

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ হবিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম রকিকে তার রুম থেকে বের করে দিয়ে অবৈধ শিক্ষার্থীকে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ হবিবুর রহমান হলের ১৩০ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রাধ্যক্ষ বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী রাকিবুল ইসলাম রকি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি শহীদ হবিবুর রহমান হলের ১৩০ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম সোহান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী এবং হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারী বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম রকি বলেন, অর্থসংকটে আমি বিভাগে এক বছর পিছিয়ে গেছি। মেসে থেকে পড়াশোনা চালাতে না পেরে হলে সিটের জন্য প্রাধ্যক্ষকে প্রায় ৬ মাস ধরে বলে আসছি। অবশেষে আমি গত ১০ জানুয়ারি শহীদ হবিবুর রহমান হলের ১৩০ নম্বর রুম বরাদ্দ পাই। গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় আমি খাবার খাওয়ার জন্য বাহিরে যাই। রুমে ফেরার পর দেখি ছাত্রলীগ নেতা সোহান আমার প্রয়োজনীয় সব জিনিস বেড থেকে ফেলে দিচ্ছেন। তাদের পছন্দ মতো একজন শিক্ষার্থীকে ১৩০ রুমের আমার বেডে তুলে দেন। আমি যখন রুমে ফিরি, রাত ১১.৪০ মিনিট তখন আমাকে জোরপূর্বক অন্য কোথাও আশ্রয় নিতে বলেন। তখন নিরুপায় হয়ে প্রাধ্যক্ষকে ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।

রকি বলেন, আমি আমার নিজস্ব সিটে নিরাপদে থাকতে চেয়ে একটি অভিযোগপত্র লিখি এবং প্রাধ্যক্ষকে দেই। তিনি দেখবেন বলে জানান। কিন্তু আমার সিট এখনো দখলে। আমার বেড মেঝেতে, এই শীতে আমি কী করব বুঝতেছি না। ছাত্রলীগ আমাকে সিট ছাড়তে চাপ দিচ্ছে। সার্বিক বিষয় নিয়ে আমি খুবই ভীত-সন্ত্রস্ত।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সোহানের ফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব বলেন, বিষয়টি শুনেই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে আমি ডেকেছি। কী হয়েছে তার কাছ থেকে শুনবো। যদি সে হলের কার্ডধারী শিক্ষার্থী হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে তার সিটে তুলে দেওয়া হবে। বিষয়টি দ্রুতই মীমাংসা করে দেব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি নিজেই ওই শিক্ষার্থীকে সিটের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। আজ সকালে জানতে পেরেছি ছেলেটিকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। যতদ্রুত সম্ভব আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান করার চেষ্টা করব।