রাবির হলগুলোতে ‘কচ্ছপ’ গতির ইন্টারনেট, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ


RU Correspondent | Published: 2024-01-22 23:17:48 BdST | Updated: 2024-05-02 14:46:43 BdST

তিনটি বাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সব আবাসিক হলের ইন্টারনেট চলছে কচ্ছপ গতিতে। এতে ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে প্রশাসন কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলগুলোতে ইন্টারনেটের এই সমস্যা নতুন কিছু নয়। প্রতিনিয়তই এই ভোগান্তি পোহাতে হয়। হলের ইন্টারনেট দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করা যায় না। প্রশাসনকে প্রতিনিয়ত জানানো হলেও কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেননা। ফলে বাধ্য হয়ে ডেটা কিনে কাজ করতে হয় তাদের। অথচ প্রতিমাসে ইন্টারনেট ফি এবং প্রতি বছর ইন্টারনেট সংযোগ ও রক্ষণাবেক্ষণ ফি দিতে হয়।

শহিদ হবিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হাসিব হাসান বলেন, হলের ইন্টারনেট কচ্ছপ গতিতে চলে। সকালের দিকে এবং গভীররাতে ব্যবহারকারী কম থাকায় কিছুটা গতি থাকে। কিন্তু অন্য সময়ে রাউটারের নিচে দাড়িয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করা লাগে। মাঝেমধ্যে রাউটারের নীচে দাঁড়িয়েও ব্রাউজ করা যায়না। একটু পরপর আবার ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. তৈয়ব আলী বলেন, প্রতিমাসে ৪০০-৫০০ টাকার ইন্টারনেট কিনতে হয়। হলের নেটে কোন কাজ করা যায় না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিয়াউর রহমান হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ডেটা কিনতে কিনতে অবস্থা খারাপ ভাই! কর্তৃপক্ষের কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেই। হলের ইন্টারনেটের গতি দেখে মাঝেমধ্যে ইচ্ছা হয়, রাউটারগুলো ভেঙ্গে ফেলি!

ইন্টারনেটের ধীরগতির বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ইন্টারনেট সেবার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টার নিয়ন্ত্রণ করে। যেকোনো সমস্যার সমাধান সেখানেই হয়। তবে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়তই ইন্টারনেট ধীর গতির অভিযোগ জানাচ্ছেন। বিষয়টি সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে আইসিটি সেন্টারকে অবহিত করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ইন্টারনেট সমস্যা দীর্ঘদিনের। এ সমস্যা সমাধানে হলগুলোতে ব্রডব্যান্ড সংযোগের সিদ্ধান্তও হয়। তবে বিভিন্ন কারণে বঙ্গবন্ধু, শাহ মাখদুম ও আমীর আলী হল এই সুবিধার আওতায় আসলেও অন্য হলে এই কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তি থেকেই গিয়েছে। বিষয়টি সমাধানে বিভিন্ন সময় অভিযোগ তুলে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তবে শিগগির বাকি হলগুলোতেও এ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওয়াইফাই সংযোগ ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং বার্ষিক ওয়াইফাই ফি হিসেবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বছরে ৩৩০ টাকা করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে বর্তমান শিক্ষার্থী থাকে ১০ হাজারের বেশি।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম মোল্লার সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।