রাবিতে তীব্র শীতে ক্লাসে কমেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি


RU Correspondent | Published: 2024-01-24 11:38:36 BdST | Updated: 2024-05-02 16:12:14 BdST

একসপ্তাহ ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। হাড়কাঁপানো শীত জেঁকে বসেছে ক্যাম্পাসেও। পাশাপাশি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি বিভাগে কমেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তীব্র শীতের কারণে সকালের ক্লাসগুলোতে অংশ নিতে দেখা যায়না অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ে শীতের ছুটি শেষে পুরোদমে ক্লাস শুরু হলেও ঠান্ডার কারণে সকালের ক্লাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের কম উপস্থিতি কম। আবার দুপুরের ক্লাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের অংশ নিতে দেখা যায়। শীত কমলে উপস্থিতির হার বাড়বে বলে প্রত্যাশা শিক্ষকদেরও।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগে মাস্টার্সে ৪০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ক্লাসে উপস্থিত হয়েছেন মাত্র ১৫ জন। এমন চিত্র শুধু লোক প্রশাসন বিভাগে নয় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে। সকাল ৯টায় ক্লাস থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত হতে পারছেন না।

এ বিষয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তারিফুল ইসলাম বলেন, ‘ঠান্ডার কারণে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে। আমাদের সামনে পরীক্ষা, কিন্তু রাজশাহীতে প্রচন্ড ঠান্ডা থাকায় সেভাবে পড়াশোনা করতে পারছি না। মাঝে মাঝে রুমের বাইরে গিয়ে পড়তে বসি। রাতে প্রচন্ড ঠান্ডা থাকায় ১০টার আগেই ঘুমিয়ে পড়ছি।’

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাথী আক্তার বলেন, ‘ক্যাম্পাসে খুব ঠান্ডা পড়ছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে। এদিকে সকালে ক্লাস থাকে। অনেকসময় বেশি ঠান্ডার কারণে ক্লাসও মিস করতে হচ্ছে। শীতের কাপড় পড়েও আমরা টিকতে পারছি না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, ‘অতিরিক্ত ঠান্ডা থাকার ফলে যেমন ক্লাসে কমেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, তেমনি ক্যাম্পাসে কমেছে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। রাত ৮টা বাজতেই পুরো ক্যাম্পাস ফাঁকা হয়ে পড়ে। দ্রুতই ঠান্ডা কমে আসবে এবং শিক্ষার্থীদের পদচারণায় আবারও মতিহারের সবুজ চত্বর প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।’