গাড়ি পথরোধ করে রাবি অধ্যাপককে হত্যা চেষ্টা, আটক ১


RU Correspondent | Published: 2024-01-27 12:29:45 BdST | Updated: 2024-05-02 11:24:36 BdST

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক অধ্যাপকের গাড়ির পথরোধ করে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী অধ্যাপক মতিহার থানায় এবিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে রাজশাহী নগরীর তালাইমারী রুয়েট সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই অভিযান চালিয়ে একজন অভিযুক্তকে আটক করেছে মতিহার থানা পুলিশ।

ভুক্তভোগী অধ্যাপক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজা। অভিযুক্তরা হলেন— মো. মিনহাজ আবেদীন (৩৯), বাবা মৃত তসলিম উদ্দিন এবং মো. মোসাদ্দেক হোসেন রাতুল (২৭), বাবা মো. মোশাররফ হোসেন। উভয়ের বাসা রাজশাহীর তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকায়।

এদিকে, রাত ৯টার দিকে এ ঘটনার সাক্ষী মো. মামুনুর রশিদকে (৩৫) সঙ্গে নিয়ে মতিহার থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এ শিক্ষক।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) মূল ফটকের বিপরীতে মিষ্টিবাড়ি হোটেলের সামনে মো. মিনহাজ আবেদীন ও মো. মোসাদ্দেক হোসেন তার গাড়ির সামনে এসে মোটরসাইকেল থামিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে গাড়ি থেকে বের হতে বাধ্য করে এবং গাড়ি থেকে নামার পর এলোপাতাড়ি মুখে ও বুকে কিল-ঘুষি মেরে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যেতে চায়।

আরও জানা যায়, এসময় তাদের পিছু নিলে তারা মোটরসাইকেল থামিয়ে আবারও গালিগালাজ করে। তাদের মোটরসাইকেলের নাম্বার দেখতে গেলে একজন পালিয়ে যায় এবং অপরজন আবারও মারধর শুরু করে। এমতাবস্থায় উপস্থিত মানুষের সহযোগিতায় সেখান থেকে রক্ষা পান তারা। অভিযুক্তরা চলে যাওয়ার সময়ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে ভুক্তভোগী শিক্ষক বলেন, আমার সঙ্গে কেন এমন করেছে আমি জানি না। আমি প্রতিবাদ করতে অভিযুক্তদের গাড়ির পিছু নিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আবার আমাকে মারধর করে। এ ঘটনার পিছনে আসলে কারা আছে, কোনো মৌলবাদী দল যুক্ত আছে কিনা সেটা পুলিশ তদন্ত করে বের করবে। এখানে যারাই জড়িত থাকুক দেশের আইন অনুযায়ী তাদের সর্বোচ্ছ শাস্তি হবে—এটাই আমার চাওয়া।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, কাল রাতে এ ঘটনা শুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে ভুক্তভোগী শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে আমরা মতিহার থানায় মামলা দায়ের করি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভুক্তভোগী শিক্ষকের পাশে আছে বলে জানান তিনি।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. মোবারক পারভেজ বলেন, কাল রাতে ভুক্তভোগী আমার থানায় মামলা দায়ের করেন। আমরা রাতেই অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করেছি। এবং দ্বিতীয় জনকে আটক করতে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। কেন তারা এমন কর্মকাণ্ড করেছে— সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।