সরল ব্যাখ্যায় ধার্মিক ও ধর্মান্ধের পার্থক্য


Dhaka | Published: 2020-04-24 01:04:48 BdST | Updated: 2024-04-30 17:24:56 BdST

কাকে বলব ধার্মিকতা আর কাকে বলব ধর্মান্ধতা?ধার্মিকতা আর ধর্মান্ধতা এক নয়।

• ধার্মিক বোঝে স্থান-কাল-পাত্র ভেদে ধর্মের রীতিনীতিকে প্রয়োগ করার বিষয়টি। ধর্মান্ধ স্থান-কাল-পাত্র বোঝে না। সব সময় চোখ বন্ধ করে একই আইন প্রয়োগ করতে আগ্রহী।

• ধার্মিক ধর্ম সম্বন্ধে পড়াশোনা করে। ধর্মান্ধ অন্ধ আবেগে অজ্ঞনতা নিয়ে অগ্রসর হয়। পড়াশোনার ধার ধারে না।

• ধার্মিক আল্লাহর নির্দেশকে পালন করে। ধর্মান্ধ কখনও কখনও অতি আবেগে আল্লাহর বা নবীদের দেখানো পথকে ভুলে যায়। নবীর হাদিসকে দেখেও দেখে না।

• ধার্মিকের সবর বা ধৈর্য থাকে। সে হুট করেই সিদ্ধান্ত নেয় না। ধর্মান্ধ অধৈর্য হয় খুব দ্রুতই।

• ধার্মিক নিজে ধর্মীয় অনুশাসন মানে ও অন্যকে মানতে উৎসাহ দেয়। ধর্মান্ধ নিজে মানে না। কিন্তু অন্যকে দোষারোপ করতে পিছপা হয় না। নিজে ফরজ নামাজ পড়ে না। পর্নোগ্রাফি দেখে। চলাফেরার সময় নিজের চোখের পর্দা করে না। অথচ অন্যের বউ পর্দা করে কি-না, সেটা নিয়ে চিন্তিত হয়। শুধু চিন্তিতই না। গালিগালাজ ও অশ্লীল কথা বলতেও পিছপা হয় না।

• ধার্মিক মানুষকে ভালোবাসে। তাকে সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থায় সৎকাজের উপদেশ দেওয়ার চেষ্টা করে, যুক্তি প্রদর্শন করে। আর ধর্মান্ধ মানুষকে ঘৃণা করে। ঘৃণার বিষ ছড়িয়ে দেয় চারপাশে।

• ধার্মিক ভাগ্যে বিশ্বাস রাখে। আল্লাহর উপর আস্থা রাখে। তবে তাই বলে চলন্ত ট্রেনের সামনে দাঁড়ায় না। অসুখ ছড়ানোর শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও জনসমাগম করে না। ধর্মান্ধ অতিভাগ্যবাদী। কর্মের দিকে তাই তার মনোযোগ যায় না। সে চলন্ত ট্রেনের সামনে দাঁড়াতে পিছপা হয় না। অসুখ ছড়ানোর শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও মুমিনের করোনা হয় না বলে জনসমাগম করে।

ধার্মিক আর ধর্মান্ধের এই পার্থক্য বুঝতে আলেম হওয়া লাগে না। ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো সম্বন্ধে যে সাধারণ মানুষগুলো ওয়াকিবহাল তারাও এসব বুঝতে পারবে যদি মগজটাকে একটু খাটায়।

লেখক: তাহমিদুল ইসলাম || শিক্ষার্থী, সমাজ বিজ্ঞান- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়