সেরা গবেষকের অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাকৃবির ১৬ শিক্ষক


Desk report | Published: 2024-04-28 09:13:08 BdST | Updated: 2024-05-11 21:14:48 BdST

 

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড সম্পন্ন বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার ‘এইচ-ইনডেক্স’ অনুযায়ী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ১৬ জন গবেষককে সম্মানজনক ‘গ্লোবাল রিসার্চ ইমপ্যাক্ট রিকোগনাইজেশন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে দুই দিনব্যাপী বাউরেস বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি কর্মশালার প্রথম দিনে এই পুরস্কার প্রদান করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস)। কর্মশালায় প্রায় ৬০১টি গবেষণা প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপন করা হবে।

এর মধ্যে অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ স্কোরধারী ৫ জন এবং অনুষদভিত্তিক একজন করে সিনিয়র ও জুনিয়র মোট ১১ শিক্ষককে এ পুরস্কার দিয়েছে বাউরেস। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালিত গবেষণা প্রকল্প থেকে উন্নত মানের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর জার্নালে আর্টিকেল প্রকাশ করায় প্রকাশনা খরচ বাবদ ৬১ জন গবেষককে মোট ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

‘এইচ-ইনডেক্স’-এর সর্বোচ্চ স্কোরধারী ৫ জন গবেষকবৃন্দ হলেন- কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. এহসানুল কবীর, পশুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ এহসানুর রহমান, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. জোয়ার্দ্দার ফারুক আহমেদ এবং সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ।

অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মত কৃষি সাংবাদিকতা পুরস্কার-২০২৪ প্রদান করা হয়। এবছর এই পুরস্কারটি বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সদস্য এবং দৈনিক কালের কণ্ঠের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি কৃষিবিদ আবুল বাশার মিরাজকে প্রদান করা হয়।

বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহ্ফুজা বেগমের সভাপতিত্বে এবং সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. চয়ন গোস্বামীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।

অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার এবং ফুড এন্ড অ্যাগ্রিকালচার অরগানাইজেশনের (ফাউ) বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সী জাউসীন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুল আলম বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র বাংলাদেশে ডেল্টা প্ল্যান আছে। জলবায়ু পরিবর্তনে বিরূপ প্রভাবকে মাথায় রেখে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ১০০ বছরের জন্য। বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ২০৬৫ সালের মধ্যে ১.৫ ডিগ্রি বৃদ্ধি পাবে। তাই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমছে। প্রান্তিক কৃষকদের সাথে কাজ করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে কৃষির আধুনিকায়নের সমন্বয় করতে হবে। কৃষির অগ্রগতিতে বাকৃবির অবদান অপরিসীম। এখন কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার, এক জমিতে বহু ফসলের চাষ, পতিত জমির ব্যবহার এবং কৃষির আধুনিকায়নে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।