ভোটের আগে রদবদল তৃণমূল ছাত্র পরিষদে


ঢাকা | Published: 2021-01-19 16:55:07 BdST | Updated: 2024-05-02 06:40:47 BdST

একুশের ভোটের আগে জেলাস্তরে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল চলছেই। সেই রেশ এ বার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য কমিটিতেও। কয়েক জন জেলা সভাপতি বদলের পাশাপাশি, রাজ্য কমিটিতেও নতুন মুখদের জায়গা দেওয়া হল এই রদবদলে।

দক্ষিণ কলকাতা, মধ্য কলকাতা, হুগলি, কোচবিহারের সভাপতি বদল করা হয়েছে। নদিয়া জেলাকে লোকসভা ভিত্তিক ভেঙে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নতুন সভাপতিদের। দক্ষিণ কলকাতায় সঞ্জয় দে-কে সরিয়ে সভাপতি করা হয়েছে স্বার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই সঞ্জয় সভাপতি ছিলেন। মধ্য কলকাতায় সুকান্ত চক্রবর্তীর জায়গায় আনা হয়েছে শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কোচবিহার জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ দত্ত মাস ছয়েক আগে প্রয়াত হওয়ায় ওই শূন্যস্থানে দেওয়া হয়েছে অনির্বান সরকারকে। এত দিন নদিয়া জেলার সভাপতি ছিলেন সৌরিক মুখোপাধ্যায়। নদিয়াকে লোকসভা ভিত্তিক দু’টি পৃথক সাংগঠনিক জেলা রানাঘাট ও কৃষ্ণনগরে ভাগ করা হয়েছে। রানাঘাটের সভাপতি হয়েছেন রাকেশ পাড়ুই। কৃষ্ণনগরের সভাপতি হয়েছেন সম্রাট পাল।

হুগলি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নতুন সভাপতি হয়েছেন সম্বুদ্ধ দত্ত। আরামবাগ লোকসভার কো-অর্ডিনেটর হয়েছেন সুমিত সরকার। হুগলির কো-অর্ডিনেটর হয়েছেন বিনয় কুমার সাউ। হুগলি জেলার সভাপতি ছিলেন গোপাল রায়। আরামবাগ লোকসভার যুব সংগঠনের সভাপতি হওয়ার কারণেই গোপালকে সরানো হয়েছে। অ্যাডহক এই কমিটিতে ৩ জনকে সহ-সভাপতি, ৪ জনকে সাধারণ সম্পাদক, ৮ জনকে সম্পাদক ও ১২ জনকে এক্সিকিউটিভ কমিটিতে আনা হয়েছে। এই রদবদল প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, পুরোনা কমিটি থেকে কাউকে বাদ দেওয়া হয়নি। নতুনদের সুযোগ করে দেওয়া জন্য এই রদবদল করা হয়েছে।

আনন্দবাজার