বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের হস্তক্ষেপসহ ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিষয় তুলে ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে এর তদন্তের আহবান জানান। ড. সিদ্দিকুর রহমান জানান, বাংলাদেশের চলমান ঘটনার নানা বিষয় তুলে ধরে এক সপ্তাহ আগে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে একটি চিঠি পাঠান। বুধবার সেই চিঠির উত্তর পাঠিয়েছেন বাইডেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন লিখেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে আমাকে লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের পৃথিবী একটি পরিবর্তনের বিন্দুতে রয়েছে। বড় বৈশ্বিক শক্তিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা যখন বাড়ছে, আমরা যে হুমকিগুলোর মুখোমুখি হচ্ছি তা আগের চেয়ে আরও বেশি সহযোগিতার দাবি রাখে। এ কারণেই আমার প্রশাসন আমাদের জাতির গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থকে এগিয়ে নিতে, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, গণতন্ত্র রক্ষা এবং আমাদের বিশ্বের ভবিষ্যত গঠনের জন্য কৌশলগত প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে বিশ্বজুড়ে মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে।
তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমেরিকান নেতৃত্বকে পুনরুদ্ধার করেছি। মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে এমন চ্যালেঞ্জগুলো গ্রহণ করার জন্য বিশ্বকে সমবেত করেছি। জলবায়ু সংকট মোকাবিলা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করা থেকে দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং গণতন্ত্রের জন্য প্রযুক্তি নিশ্চিতে কাজ করছি। আমরা ইউক্রেনের সাহসী জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য একটি বৈশ্বিক জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছি কারণ তারা রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষা করছে। আমরা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের জন্য আমাদের মৌলিক নীতির প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। ইরান ও উত্তর কোরিয়ার উসকানিমূলক আচরণসহ বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার হুমকি মোকাবিলার জন্য নতুন উপায়ে অংশীদারদের একত্রিত করেছি।
আমরা এটা নিশ্চিত করেছি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্ভাবনে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে থাকবে। আজকের ও আগামীকালের হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষার জন্য আমরা আমাদের সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করছি। আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের নেটওয়ার্ককে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে এবং চীনসহ সব জায়গায় প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আমরা শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছি এবং সফল হয়েছি।
দিন শেষে, আমাদের পররাষ্ট্র নীতি হলো সকল আমেরিকানদের জীবনকে আরও ভালো ও নিরাপদ করে তোলা। আমি আপনার বার্তাটি মনে রাখব যখন আমরা সামনের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগগুলো মোকাবিলার জন্য কাজ করব।