শপথ নিলেন জো বাইডেন ও কমলা


ঢাকা | Published: 2021-01-21 13:13:27 BdST | Updated: 2024-05-02 18:20:54 BdST

সত্য হলো জো বাইডেনের স্বপ্ন। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি। বড় কোনো সংকট দেখা না দিলে আগামী চার বছর ওভাল অফিসের নিয়ন্ত্রণ থাকছে তারই হাতে।

স্থানীয় সময় বুধবার বেলা ১১টার পর ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনে শপথ নেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস।

এর আগে, নির্ধারিত সময় সকাল ১০টার দিকেই ক্যাপিটলে পৌঁছান জো বাইডেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জিল বাইডেন, নতুন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস প্রমুখ।


যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন কমলা হ্যারিস।

স্থানীয় সময় বুধবার বেলা ১১টার পর ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনে শপথ নেন তিনি। আমেরিকার আড়াইশ বছরের ইতিহাসে প্রথম কোনো কৃষ্ণাঙ্গ নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট তিনি।

এরপরই দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে কমলা হ্যারিসের নাম আলোচনার শীর্ষভাগে উঠে আসে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে যখন তিনি মার্কিন সিনেটর থেকে সোজা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার প্রতিযোগিতায় নাম লেখান। কৃষ্ণাঙ্গ, তরুণ ও উদীয়মান রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি ছিলেন উদারপন্থীদের কাছে সেরা পছন্দ। মনোনয়নের প্রাথমিক লড়াইয়ে সাধারণ প্রতিযোগী হিসেবে নামলেও অল্প সময়ের মধ্যেই প্রথম সারিতে চলে আসেন কমলা হ্যারিস। বছরের শেষভাগে দেখা যায় একমাত্র আফ্রিকান-আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে ডেমোক্রেট প্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে টিকে রয়েছেন এ সিনেটর।

কিন্তু বেশ কিছু নীতিমালার বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে না পারা এবং বিতর্ক চলাকালীন প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনকে মৌখিক আক্রমণের চেষ্টায় কিছুটা সমর্থন হারান কমলা হ্যারিস। ফলে শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়া আর হয়ে ওঠেনি তার। তখন অনেকেই ভেবেছিলেন, কমলার সম্ভাবনা হয়তো শেষ। কিন্তু সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করে হোয়াইট হাউস দখলের লড়াইয়ে তাকেই সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন বাইডেন।

ডেমোক্রেট নেতা কমলা হ্যারিসের জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ার অকল্যান্ডে। বাবা ডোনাল্ড হ্যারিস জ্যামাইকান এবং মা গোপালান হ্যারিস ভারতীয়।

বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর কমলা ও তার বোন মায়া বড় হন তাদের হিন্দু মায়ের কাছে। কমলার মা একজন ক্যান্সার গবেষক এবং নাগরিক অধিকার কর্মী।

সিনেটর হ্যারিস বেশ কিছুদিন কানাডাতেও ছিলেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে কলেজে ভর্তি হন, বিখ্যাত হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন তিনি। হাওয়ার্ডে চার বছর পড়াশোনার পর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া থেকে আইনে ডিগ্রি অর্জন করেন কমলা এবং আলামিডা কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন।

২০০৩ সালে সান ফ্রান্সিসকোর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি হন কমলা। অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দুই বছর দায়িত্ব পালনের সময়ই ডেমোক্রেটিক পার্টির উদীয়মান তারকা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। ২০১৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে মার্কিন সিনেটর নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েন কমলা হ্যারিস।