ঢাবির খ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য শেষ মুহূর্তের পরামর্শ


ঢাবি টাইমস | Published: 2017-09-21 18:40:57 BdST | Updated: 2024-05-18 19:33:18 BdST

ইতিমধ্য তোমাদের আমলনামা তৈরি হয়ে গেছে। যারা সঠিক ওয়ে তে, টেকনিকালি, এবং কন্সিস্টেন্টলি পড়াশুনা করেছ তারা অবশ্যই চান্স পাবে। আর তারপরও যদি চান্স না পাও সেটাকে ভাগ্য বলা যেতে পারে। তবে সৃষ্টিকর্তা পরিশ্রমী দের হতাশ করেন না এটা মনে রাখবা। যাইহোক, এই কয়েকটা ঘণ্টা কিভাবে ইউটিলাইজ করা উচিত সেটা বলে দিচ্ছি --

১. সবসময় নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা কর। আত্মবিশ্বাস রাখ। আর নিজে নিজেকে বুঝাও যে একমাত্র যদি ভাগ্য বাধা না হয়ে দাড়ায় তাহলে চান্স হবেই।
২. এখন নিশ্চয় অনেকে ঢাকায় আসছে বা আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তোমরা শুধু চোখ বুলানোর জন্য কিছু বই সাথে নেও। বাংলা যেকোন একটা এডমিশন সহায়ক বই আর সৌমিত্র স্যারের বইটা সাথে নেও, সাধারণ জ্ঞানে অসাধারণ পণ্ডিত তুমি এই কয়েক ঘন্টায় হতে পারবা না তাই কয়েকটা সাম্প্রতিক বই সহ একটা মূল এডমিশন সহায়ক সাধারণ জ্ঞানের বই সাথে রাখো(এডমশনের আগে আমার সর্বশেষ পঠিত ও রিভাইজডকৃত সাধারণ জ্ঞানের বইটি হলো "জোবায়ের'স জিকে"। আই আম নট এডভারটাইজিং।), ইংলিশের জন্য ভক্যাবুলারির একটা বই সাথে রাখো হতে পারে সেটা সাইফুর'স ভক্যাবুলারি বা অন্য কোন বই।
৩. এই মূহুর্তে তুমি তোমার নিজের সত্তাকে জিজ্ঞেস করলেই উত্তর পাবা যে আমি চান্স পাব কি না। সো আগেই বলছি বেশি উত্তজিত হওয়ার কারণ নাই প্রশ্ন পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৪.বেশি অস্থির লাগলে নামাজ পড়ুন। সেক্ষেত্র আত্ম তৃপ্তি আসবে। এবং দোয়া করুন ভাগ্য পরিবর্তন হলেও হতে পারে।
৫.যত চেষ্টাই কর একটু অস্থিরতা থাকবেই তাই। তাই যেগুলো বইয়ের কথা বলেছি তা হাতে নিয়ে চোখ বুলান সেক্ষেত্রে এমনটাও হতে পারে যে কঠিন এক্টা প্রশ্ন আসছে বাট চোখ বুলাতে গিয়ে পরিক্ষায় প্রশ্নটা এসে গেছে।
৬. আর হ্যাঁ একটা কথা ভুলে গেছি, বি এবং ডি ইউনিটের প্রশ্ন ব্যাং ক দুটা রিভাইজ দেয়া ফরজ সেক্ষেত্রে তোমার আগে ভালোভাবে পড়া থাকলে দুটা রিভাইজ দিতে দু ঘণ্টার বেশি লাগার কথা না। রিভাইজ দিলে হয় কি?। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিছু প্রশ্ন রিপিট করে বা ক্রিটিকালি করে যা বিগত বছরে এসেছিল। এগুলো কমন সবাই পারবে। এই কমন রিপিটেড জিনিস গুলো যাতে ভুল না হয় তার জন্য প্রশ্ন ব্যাংক পড়তে হবে।
৭.সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন সবচেয়ে বেশি ক্রিটিকাল হয় সাম্প্রতিক। এই অংশটা চোখ বুলানো অবশ্য করণীয়।কেন? সেটা আমি পরিক্ষার পর বুঝে ছিলাম। তোমরাও নিশ্চয়ই বুঝবে।
৮.বাংলা ও ইলিশের ভক্যবলুারি পার্টটা যথাসম্ভব চোখ বুলানোর চেষ্টা করুণ। বাংলা সৌমিত্র স্যারের বইটা অবশ্যই চোখ বুলাবা।
৯. ইতমধ্যে চোখ বুলাতে বুলাতে বৃহস্পতিবার রাত দশটা বাজবে। কিছু ক্ষণ রেস্ট নিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ঘুম না আসলে চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকুন আশা করি ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘুম ধরবে। এবং ফজরের আগে অবশ্যই উঠতে হবে।
১০.সকালে উঠার পর নামাজ পরে যথা সম্ভব স্থির থাকার চেষ্টা কর। পরিক্ষার হল দুরে হলে বেরিয়ে পড়েন সৃষ্টিকর্তার নামে। আর কাছে হলে কিছুক্ষণ সাম্প্রতিক দেখতে পার। আর ভালো না লাগলে পড়া বাদ দেও। শান্ত থাকার চেষ্টা কর।
১১. পরিক্ষার হলে গিয়ে দেখবা কেউ কেউ ফুটপাতে বসে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের সিট নিয়ে পরিক্ষার কয়েক মিনিট আগে নিজেকে উদ্ধারের সর্ব্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ওই দিকে চোখ না দিয়ে নিজে শান্ত থাকার চেষ্টা কর আর প্রশ্ন পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা কর।
১২. পরীক্ষার হলে ঢোকার আগে সম্ভব হলে মাকে ফোন করুন এক্ষেত্রে ভালো লাগবে। আর মায়েদের দোয়া কবুল হয়।
১৩.প্রশ্ন পাওয়ার পর নিজেকে শান্ত রাখার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে। ওএমআর প্রথমেই ছিড়ে নিয়ে সতর্কতার সাথে পুরণ করতে হবে।
১৪. তারপর প্রশ্নপত্রের প্রথম পেজ যে সাবজেক্ট দিয়ে শুরু হয়েছে ওই সাবজেক্ট দিয়ে শুর কর। তিন ধাপে তুমি উত্তর ভরাট করবা প্রথম ধাপে ৪০ মিনিট দ্বিতীয় ধাপে ১৫মিনিট ৩য় ধাপে ৫ মিনিট নিবা।
১৫. প্রথম ধাপে যেগুলো পারো নাই সেগুলো রুল দিয়ে সুক্ষ্মভাবে মার্ক করে রাখবা যাতে ২য় ও৩য় ধাপে পুরণ করতে সুবিধা হয়।
তারপর ইতমধ্যে পরিক্ষা শেষ হবে। খুব কম সংখ্যক বাদ দিয়ে সবারই পরীক্ষা খুবই ভালো হবে কিন্তু পাশের হার ১৫ শতাংশের বেশি হবেনা। শান্ত থাকুন, বিশ্বাস রাখুন অযোগ্যরা ভুলেও চিন্তা করবেন না চান্সের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যোগ্যদেরই চান্স হবে। আর রেজাল্ট দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
সবার চান্স হওয়া সম্ভব না। আশাকরি যোগ্যরাই চান্স পাবে। শুভকামনা অনুজদের জন্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাগতম।
ধন্যবাদ।
শুভ কামনায়,
Faysal Ahmed
10th- B unit &
1st -D unit