
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আবারও বৃত্তি পরীক্ষা চালু করা হচ্ছে। আজ শনিবার লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
অধ্যাপক পোদ্দার বলেন, যৌক্তিক দাবি মন্ত্রণালয় স্বীকৃতি দিয়ে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। শূন্য পদ পূরণে কাজ চলমান রয়েছে। প্রাথমিক স্তরে পরীক্ষার ব্যবস্থা আবার চালু হয়েছে, এবার বৃত্তি পরীক্ষাও চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মৌলিক শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম—যেমন বিতর্ক প্রতিযোগিতা, দেয়ালিকা উৎসব, চিত্রাঙ্কনসহ বিভিন্ন আয়োজনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো শিশুর ন্যূনতম সাক্ষরতা অর্জন নিশ্চিত করা। যাতে তারা মাতৃভাষায় সাবলীলভাবে পড়তে, লিখতে ও বলতে পারে এবং প্রাথমিক গণিতেও দক্ষতা অর্জন করতে পারে। এই দক্ষতা অর্জনই শিক্ষার সফলতা নিশ্চিত করবে।
শিক্ষকদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, শিক্ষক শুধু একটি পেশার প্রতিনিধি নন, তিনি জাতি গঠনের একজন গুরুত্বপূর্ণ কারিগর। একজন শিশু কীভাবে জীবনযাপন করবে, সেই পথপ্রদর্শকের ভূমিকায় থাকেন শিক্ষক।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকে সর্বশেষ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২২ সালে। এর আগে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হতো। ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) চালু হলে বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। তখন পিএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতেই বৃত্তি দেওয়া হতো। পরে ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের কারণে টানা তিন বছর পিএসসি পরীক্ষা বন্ধ থাকে। ২০২২ সালে পিএসসি বাতিল হলে ওই বছর আবার বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। তবে এরপর ২০২৩ ও ২০২৪ সালে তা আর অনুষ্ঠিত হয়নি।