৮০০ শিক্ষার্থীকে স্মার্টফোন, ডেটাপ্যাকের ব্যবস্থা করছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়


Dhaka | Published: 2020-08-18 10:34:03 BdST | Updated: 2024-05-05 11:51:48 BdST

করোনা আর লকডাউনের জেরে দেশে ২০ মার্চ থেকেই বন্ধ সব স্কুল-কলেজ। এই পরিস্থিতিতে পঠনপাঠন চালিয়ে যেতে প্রায় সব স্কুল-কলেজই অনলাইন ক্লাস চালাচ্ছে। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে মোবাইল স্মার্টফোন, ওয়েবিনার, জুম কল, গুগল মিট-এমন নানা প্রযুক্তির। পড়ুয়ারা স্কুল-কলেজে না গিয়েই বাড়িতে বসে পড়াশোনা চালাচ্ছে।

কিন্তু এর ফলে সকলের জন্য আবশ্যক হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ। কিন্তু ডিজিটাল ইন্ডিয়া স্লোগানের পরেও প্রশ্ন উঠছে, দেশের কতজন পড়ুয়ার কাছে আছে এই দুটির সুবিধা? অভিযোগ উঠছে, নিছক অর্থনৈতক কারণেই পড়া ছাড়তে হবে গরিব বা প্রত্যন্ত এলাকায় থাকা অসংখ্য ছাত্রছাত্রীকে।

শুধু দূরের গ্রাম নয়, শহর কলকাতাতেও অনেক ছাত্রের কাছে ভাল স্মার্টফোন বা হাইস্পিড ডেটা কানেকশন নেই। সম্প্রতি কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষে একটি সমীক্ষা চালায়। রিপোর্ট দেখে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ৮০০ জন পড়ুয়াকে স্মার্টফোন এবং ডেটা-প্যাক দেওয়া হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।

উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানান, সমীক্ষায় দুই ধরণের ছাত্রছাত্রী দেখা গিয়েছে। একাংশের কাছে স্মার্টফোন নেই। অনেকের স্মার্টফোন থাকলেও ইন্টারনেট প্যাক রিচার্জ করার মতো ক্ষমতা নেই।

করোনা পরিস্থিতিতে আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়েছে অনেকের পরিবার। তার উপরে এসেছিল আমফান। সুন্দরবনের অনেক ছাত্রছাত্রীর এখনও মাথার উপর ছাদ নেই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক পড়ুয়াই আসে সুন্দরবন থেকে। এই অবস্থায় তাঁদের স্মার্টফোন কিনতে বাধ্য করা অমানবিক বলেই মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার্থপ্রতিম রায়।

এ দিকে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে যাদবপুরে শুরু হতে চলেছে আগামী সেমিস্টারের পঠনপাঠন। প্রক্রিয়া চলবে অনলাইনেই। মূলত হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইমেইলের মাধ্যমে সমস্ত লেকচার, বই এবং স্টাডি মেটিরিয়াল পাঠানো হবে ছাত্রছাত্রীদের কাছে।

তাই তার আগেই বাছাই করে ৮০০ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে প্রয়োজনীয় ফোন বা ডেটা প্যাক তুলে দেওয়া হবে। খরচ বহন করবে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, এই অর্থ সংগ্রহের জন্য তাঁরা যেন একদিনের বেতন প্রদান করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের কাছেও সাহায্য চাওয়া হয়েছে।