গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে একটি বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪টি ছাত্র সংগঠনের একটি জোট। এই বিবৃতিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত অ্যালামনাই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা সংগঠনগুলোর মধ্যে ‘বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন অব স্টুডেন্টস অ্যাট হার্ভার্ড কলেজ’ ও ‘হার্ভার্ড কেনেডি স্কুল বাংলাদেশ ককাশ’ নামে বাংলাদেশি দুটি ছাত্র সংগঠনেরও নাম উল্লেখ আছে।
মঙ্গলবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকার রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪ ছাত্রসংগঠন গত সোমবার তাদের বিবৃতি প্রকাশ করে। চলমান সংঘাতের জন্য বিবৃতিতে এককভাবে ইসরায়েলকে দায়ী করেছে সংগঠনগুলো। ইসরায়েলকে একটি বর্ণবাদী রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যা দিয়েছে তারা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা সংগঠনগুলোর মধ্যে ‘হার্ভার্ড জিউস ফর লিবারেশন’ নামে একটি ইহুদি সংগঠন স্বাক্ষর করে চমক সৃষ্টি করেছে। এই তালিকায় ‘আফ্রিকান-আমেরিকান রেজিস্ট্যান্স অর্গানাইজেশন’ নামে কৃষ্ণাঙ্গদের একটি সংগঠনও রয়েছে। বাকি সংগঠনগুলোর বেশির ভাগই মুসলিম, আরব ও এশিয়াসংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের।
এদিকে ফিলিস্তিনের পক্ষে দেওয়া ওই বিবৃতির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই। তারা ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
হার্ভার্ড অ্যালামনাইয়ের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি লরেন্স শুমার বিবৃতি দেওয়া সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে এখনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘হার্ভার্ড নেতৃত্বের নীরবতা হার্ভার্ডকে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতি নিরপেক্ষ হওয়ার সুযোগ দিয়েছে।’
বিষয়টিতে অসুস্থবোধ করছেন বলেও মন্তব্য করেন শুমার।
বিবৃতিটিকে ‘ঘৃণ্য ও জঘন্য’ বলে মন্তব্য করেছেন নিউইয়র্কের রিপাবলিকান প্রতিনিধি অ্যালিস স্টেফানিক। আর রিপাবলিকান সিনেটর টেড ক্রুজ তাঁর এক্স মাধ্যমে লিখেছেন, ‘হার্ভার্ডে কীসব ভুল-ভাল ঘটছে?’