
‘ওপেন বুক এক্সামে’ই সায় দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (University Of Calcutta)। বাড়ি বসে বই খুলেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে দেওয়া যাবে পরীক্ষা। ১ থেকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ হবে। ই-মেল বা হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে উত্তর জমা দিতে হবে। উত্তর অনলাইনে পাঠানো যাবে। কিংবা কেউ চাইলে কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েও জমা দিতে পারবেন উত্তরপত্র। ছাত্রছাত্রীরা যে কলেজে পড়েন সেই কলেজের অধ্যাপকরা মূল্যায়ন করবেন।ফলপ্রকাশ হবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে।
ইউজিসি’র (UGC) সাম্প্রতিক গাইডলাইন অনুযায়ী, দেশের সমস্ত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নিতেই হবে। সুপ্রিম কোর্টও তাতে সিলমোহর দিয়েছে। সেইমতো এ রাজ্যেও কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পরীক্ষার তোড়জোড় শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নির্দেশ দিয়েছিলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত পরিকল্পনা ঠিক করার। তা মেনে করোনা আবহে কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া হয়, তার রূপরেখা স্থির করতে গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সেখানেই ঠিক হয়, অফলাইনে নয়, সর্বত্র অনলাইনেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। থাকবে হোম অ্যাসেসমেন্ট। অক্টোবরের ১ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে পরীক্ষা সম্পূর্ণ করতে হবে। অক্টোবর মাসের মধ্যেই প্রকাশ করতে হবে ফলাফল। ঠিক কীভাবে হবে পরীক্ষা? বুধবার সেই সিদ্ধান্তের কথা জানাল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি কলেজের লক্ষাধিক পড়ুয়া পরীক্ষা দেবে। সিলেবাস যতটুকু শেষ হয়েছে তার উপর ভিত্তি করেই নেওয়া হবে পরীক্ষা। হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ই-মেলের মাধ্যমে পড়ুয়ার কাছে প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কলেজে গিয়ে কিংবা অনলাইনে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের উত্তরপত্র দেখবেন সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যাপকরা।