নামে নামে জম টানে!


Dhaka | Published: 2019-10-08 11:11:44 BdST | Updated: 2024-05-04 05:49:16 BdST

অপরাধ না করেও শুধু নামের মিল থাকার কারণে অনেকের কারাগারে কাটাতে হয় ,হয়েছে। এটাকে বলে নামে নামে জম টানে ! এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুর রহমান মাকসুদকে নিয়ে।

সম্প্রতি ক্যাসিনো ঘটনা নিয়ে যুবলীগের সাংগঠিক মাকসুর রহমান মাকসুদকে ঘিরে বিভিন্ন নিউজ হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা,ভিত্তিহীন।

জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়ার পর ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া রিমান্ডে মাকসুদ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।সেই মাকসুদ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদ নয়,তিনি হলেন ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার আপন ছোট ভাই মাকসুদুর রহমান মাসুদ।
খালেদের তথ্যের ভিত্তিতে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা একথা বলেন




এসম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিস্তারিত এক তথ্য দিয়েছেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান।


দৈনিক আমাদের দিনের পাঠকের জন্য বিস্তারিত তুলে ধরা হলো,"নামে নামে জমে টানে,নামের মিলের কারনে আমি গভীর ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে যাচ্ছিলাম,আল্লাহ রক্ষা করেছেন"

ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ এর বহিস্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ ভূইয়ার আপন ছোট ভাই মাকসুদুর রহমান মাসুদ। বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারলাম তিনি তার সকল ব্যবসা বানিজ্য দেখাশুনা করতেন ও ক্যাসিনোর ক্যাশিয়ার ছিলেন। ক্যাসিনো অভিযানে অনেক পত্রিকায় ও মিডিয়ায় আমাকে জড়িয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। আমি খালিদের ক্যাসিনো ক্যাশিয়ার। সুস্পষ্ট ভাবে বলতে পারি ক্যাসিনো ক্যাশিয়ার হলো খালিদের আপন ছোট ভাই মাসুদ। এর সাথে আমার কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই।

আমার রাজনৈতিক ইতিহাস তুলে ধরলামঃ ১৯৯৩ সালে ক্লাস নাইনে পড়ি,তখন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ঢাকার রাজপথে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত সতের বছর। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা ছিলাম। ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়ে যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আট বছর।

বর্তমানে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ এর সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছি। দীর্ঘ রাজনীতির জীবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে সংগঠনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

আমার পিতা ছিলেন ১৯৬২ সাল থেকে আওয়ামী লীগের নেতা,রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, আদর্শবান স্কুল শিক্ষক। তিনি ১৯৯৫ সালে ইন্তেকাল করেছেন। পিতার আদর্শে বড় হয়েছি। কখনো কোন অন্যায় করিনি,অন্যায় কে প্রশ্রয় দেইনি। আমরা যারা নেত্রীর রাজপথের কর্মী,আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে রাজপথ থেকে সরাতে পারবে না।

গত কিছুদিন কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায়,অনলাইন পত্রিকায় ও মিডিয়ায় খুবই বাজে, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন নিউজ হয়েছে আমার সাংগঠনিক পোস্ট উল্লেখ্য করে। নামে নামে জমে টানার মতো অবস্থা। সকলের কাছে অনুরোধ আমি পত্রিকার মাকসুদুর রহমান না। বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র কারীরা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাজপথের তৃণমূলের পরীক্ষিত সৈনিকদের নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

ফেইসবুক ভাইয়েরা আপনারা যারা আমার শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন, ঢাকার রাজপথে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে যারা আমাকে চিনেন, তারা যানেন আমি জীবনে কোন ক্লাবে যাইনি,ক্যাসিনোর সাথে আমার কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই।

গত কয়েকদিন জাতীয় পত্রিকায় সেলিম প্রধান, জিকে শামীম ও খালিদের সহযোগী বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর নিউজ ছাপা হচ্ছে। এদের কারো সাথে আমার কোন প্রকার যোগাযোগ কিংবা সম্পৃক্ততা নেই। মুলত খালিদের ভাই মাসুদ এগুলোর সাথে সম্পৃক্ত।

২০০১ সালের পর বহুবার রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে কারাবরন করেছি।বহুবার গুরুতর আহত হয়েছি, নেত্রী ২০০৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে দেখতে এসেছেন খোজ খবর নিয়েছেন। বহুবার চিকিৎসার খরচ দিয়েছেন। ২০০৭ সালের ১/১১ সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রিয় নেত্রীর মুক্তির আন্দোলন করতে গিয়ে রাস্ট্রদ্রোহি মামলার আসামী ছিলাম, রাজপথ থেকে সরিনি। যৌথ বাহিনী বহুবার চেষ্টা করেছে গ্রেফতার করতে। কিন্তু স্থির ছিলাম নেত্রীর মুক্তি ছাড়া রাজপথ ছাড়বো না।

আত্নবিশ্বাস আছে, ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। ষড়যন্ত্র আগেও বহুবার হয়েছে,এখনো চলছে। অন্য জনের নামের সাথে আমার নাম মিল আছে বলে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি কোন অপরাধের সাথে জড়িত নই। ইনশাআল্লাহ জয় হবেই। কারন আমি যাকে মায়ের মতো সন্মান করি মমতাময়ী নেত্রী, বাঙালির গর্ব সফল প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তৃনমুলের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের খুবই ভালবাসেন।