মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নাম ও স্লোগান পরিবর্তন


Dhaka | Published: 2020-12-14 03:05:09 BdST | Updated: 2024-05-04 14:54:31 BdST

নামে কিছুটা পরিবর্তন আনল মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও আল মামুন নেতৃত্বাধীন অংশ। এখন থেকে আমিনুল-মামুনের নেতৃত্বাধীন অংশের সংগঠনের নাম হবে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’। আগে তা ছিল ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’।

শুধু নাম নয়, স্লোগানেও পরিবর্তন এনেছেন আমিনুল ও মামুন। তাঁদের অংশের সংগঠনের আগে স্লোগান ছিল ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নই আমাদের অঙ্গীকার’। এখন থেকে স্লোগান হবে ‘মুজিববাদ প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য’৷

আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।

২০১৯ সালে নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধের জেরে দুই টুকরো হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। এরপর থেকে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ব্যানারে দুটি অংশের কার্যক্রম চলে। তবে বিভিন্ন ইস্যুতে আমিনুল-মামুনদেরই বেশি সক্রিয় দেখা গেছে।

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিলের পর ৩০ শতাংশ ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা’ বহাল রাখার দাবিতে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর শাহবাগে জন্ম হয় ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ নামের সংগঠনের। তখন মঞ্চের আহ্বায়ক করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীনকে। সদস্যসচিব হন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান। তবে আসিবুরকে ২০১৮ সালের পর এই সংগঠনে তেমন সক্রিয় দেখা যায়নি।

২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর দুপুরে নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে যুবলীগের তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন। এ কর্মসূচিতে সায় ছিল না অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিনের। একে কেন্দ্র করেই ভাঙে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ৷

কুশপুত্তলিকা দাহ করার ওই কর্মসূচির পর সেদিন রাতেই আমিনুল ও মামুনকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেন অধ্যাপক জামাল। এর প্রতিক্রিয়ায় আমিনুল ও মামুন অধ্যাপক জামালকে ‘সম্মানিত উপদেষ্টা’ ও নিজেদের মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন। সেই রাতেই আরেক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অধ্যাপক জামালকে ‘সম্মানিত উপদেষ্টা’র পদ থেকেও অব্যাহতি দেন আমিনুল-মামুন।

এরপর থেকে একই নামে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের দুটি অংশ। একটি আমিনুল-মামুনের নেতৃত্বে, অন্যটি অধ্যাপক জামালের নেতৃত্বে। মূলত, বিভ্রান্তি দূর করা ও নিজেদের স্বতন্ত্র করতেই নাম-স্লোগানে পরিবর্তন আনল আমিনুল-মামুনের নেতৃত্বাধীন অংশটি।