বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে আটকে রেখে চাঁদা দাবি, ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে মুক্তি


HSTU | Published: 2020-03-10 18:07:18 BdST | Updated: 2024-05-04 22:14:51 BdST

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রাবাস থেকে তুলে নিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে হলের কক্ষে আটকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা মাহিন শাহরিয়ার নামের ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন। মাহিন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের লেভেল-৩, সেমিস্টার-১-এর শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলের ৫০৬ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে উদ্ধার করেন সহকারী প্রক্টর প্রফেসর ড. রাসেদুল ইসলাম, সিহাবুল উল্লাহ ও হল সুপার গোলাম রব্বানী।

পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দিবাগত গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের একটি ছাত্রাবাস থেকে মাহিনকে তুলে নিয়ে যায় এমবিএ লেভেল-২, সেমিস্টার-১-এর ছাত্র ইয়াকুব, বিবিএ লেভেল-২, সেমিস্টার-১-এর ছাত্র গুঞ্জন ও পরিসংখ্যান বিভাগের লেভেল-২, সেমিস্টার-১-এর ছাত্র সৌরভ কুমার কুণ্ডু। তারা মাহিনকে আটকে রেখে মারধর ও চাঁদা দাবি করে। তারা ওই ছাত্রের কাছ থেকে এক হাজার টাকা নিয়ে নেয় এবং আরও দুই লাখ টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেয় ও মারধর করে।

এরপর তারা আটকে রেখে বাইরে গেলে ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশের সহযোগিতা চায় মাহিন। খবর পেয়ে পুলিশ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে অবহিত করলে শিক্ষকরা ওই কক্ষ থেকে মাহিনকে উদ্ধার করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. কে এম খালেদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উদ্ধারের পর ওই ছাত্র হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার ও কোতয়ালী থানায় তিন অপহরণকারীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত অপর একজনসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অপহৃত মাহিন শাহরিয়ারের পরিবার এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানায় মামলা করলে বিষয়টি তদন্ত করা হবে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন।