ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যানজট নিরসন ও পরিবহণ ব্যবস্থা বিষয়ক যৌথ সমন্বয় সভা করেছে ডাকসু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ট্রাফিক কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সভাকক্ষে দুপুর ১২ টায় এ যৌথ সভা শুরু হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরের যাতে যানজট লেগে না থাকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসকে যাতে প্রাধান্য দেয়া হয় সেজন্য ট্রাফিক পুলিশকে আহবান জানানো হয়েছে বলে জানান ডাকসুর পরিবহন সম্পাদক মোঃ শামস-ঈ-নোমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ মুখে যাতে যানজট না থাকে সেজন্য তৎপর উদ্যোগ নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বহিরাগত বাস, ট্রাক, পিক-আপ ইত্যাদি ভারী যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ভিতরে যাতে বহিরাগত গাড়ি পার্কিং না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়। সভায় বলা হয়, যদি বিশ্ববিদ্যালয় ভিতরে অবৈধ গাড়ি পার্কিং পাওয়া যায় তবে সে গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে চেইন লাগিয়ে দেওয়া হবে এবং ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করা হবে।
ডাকসু ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগে ক্যাম্পাসের যানজট নিয়ন্ত্রণে একটি টিম গঠন করা হবে । এই টিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেঞ্জার এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাছাই করা শিক্ষার্থীরা থাকবে।
তাছাড়া মেট্রোরেলের সমন্বয়ককে আহবান জানানো হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেসব রাস্তায় মেট্রোরেলের কাজ চলমান সেসব রাস্তায় যেন বিদ্যমাণ গর্তগুলো ঠিক করে যান চলাচলের জন্য রাস্তার অংশটুকু আরো চলাচল উপযোগী করা হয়।
এছাড়া ক্যাম্পাসে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ভাসমান দোকান ও হকার উচ্ছেদ , বহিরাগতদের আগমন সীমিতকরণ এবং ভবঘুরে ব্যক্তিদের বিচরন বন্ধ করা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)'র ছাত্র পরিবহণ সম্পাদক শামস-ঈ-নোমান, সদস্য তিলোত্তমা শিকদার, ফরিদা পারভিন ও মাহমুদুল হাসান। আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী, সহকারী প্রক্টর বৃন্দ, ট্রাফিক ডিসি, বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কয়েকটি থানার ওসি , পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মেট্রোরেলের সমন্বয়ক, স্টেট ম্যানেজার এবং বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট ও তাদের প্রতিনিধিবৃন্দ।