ঢাবিতে ২২ শিক্ষার্থীকে ফেল করানোর অভিযোগ


ঢাবি টাইমস | Published: 2020-03-12 04:55:51 BdST | Updated: 2024-05-04 08:13:09 BdST

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগের ২২ জন শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে ফেল করানোর অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ এনে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা বিভাগের চেয়ারপার্সন বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম আব্দুল্লাহ আল মুনীম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। এতে বলা হয়, ওই শিক্ষকের ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ ও ‘গাফেলতি’র কারণে তারা এমবিএ’র টিএইসএম- ৫২৪ নং কোর্সে অকৃতকার্য হয়েছেন। এতে শিক্ষার্থীরা ছয়টি অভিযোগ তুলে ধরেন। অভিযোগগুলো হলো- কোনো নোটিশ ছাড়াই দ্বিতীয় মিডটার্ম না নিয়ে মার্কস বসানো, সংশ্লিষ্ট কোর্স আউটলাইনের বাইরে ‘ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজমেন্ট’র উপর পুরো বইয়ের উপর ৬০ নম্বরের পরীক্ষা নেন যার নম্বর বণ্টন অস্পষ্ট, মিডটার্ম পরীক্ষার নম্বর প্রকাশের করার আগেই ই-মেইলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ফোন নম্বর সংগ্রহ করে পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন, ক্লাস উপস্থিতির উপর কোনো নম্বর বরাদ্দ না থাকার ঘোষণা দিয়েও এর নম্বর গণনা করা, ‘উশৃঙ্খল আচরণে’র মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে ভীতির সঞ্চার করা ও মানসিক নির্যাতন করা এবং ক্লাসরুমে প্রকাশ্যে বিভাগের চেয়ারপর্সন ও অন্যান্য সিনিয়র শিক্ষক সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মুনীম এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এই কোর্সটা বিভাগে নতুন যোগ করা হয়েছে। এই কোর্সটি ‘ম্যাথমেটিক্যাল ওরিয়েন্টেড’ হওয়ার অনেকে পাশ করতে পারেনি। সেই জায়গা থেকে তারা হয়তো অভিযোগ করেছে। নোটিশ ছাড়াই দ্বিতীয় মিডটার্ম না নিয়ে মার্কস বসানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে সাধারণত ক্লাস প্রতিনিধিদের জানানো হয়। তারাই ক্লাসের সবাইকে জানান। তাদের জানিয়েই এটা করা হয়েছে। এখানে আমার কোনো ধরণের গাফেলতি বা স্বেচ্ছাচারিতার প্রশ্নই আসে না।

বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, এই বিষয়ে আমরা পরীক্ষা কমিটির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বিষয়টির সত্যতা যাচাই করেছেন। কিন্তু তারা তেমন কিছু পাননি। এরপরেও যেহেতু এটা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিষয়, সেহেতু আমরা এ বিষয়টি আরো ভালো করে খতিয়ে দেখবো।