তিনি ছিলেন বাংলার পপ সম্রাট। রেল লাইনের ওই বস্তিতে, আলাল ও দুলাল, অভিমানী শিরোনামসহ অসংখ্য কালজয়ী গানে যিনি সবার কাছে পরিচিত ‘গুরু’ নামে।
তারচেয়ে বড় পরিচয়, তিনি একাত্তরের রনাঙ্গনের ‘দুর্ধর্ষ’ গেরিলা যোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তীকালের সাংস্কৃতিক জগতের বিস্ময়কর ব্যক্তি আজম খান।
৫ জুন, এই বীর সেনানী মুক্তিযোদ্ধা আজম খানের নবম মৃত্যু বাষির্কী।
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারনে এবার সঙ্গীতাঙ্গনে উল্ল্যেখযোগ্যভাবে স্মরণ করা যায়নি পপ সম্রাটের গুরু আজম খানকে।
তবে তাকে ভুলে যায়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
৬ জুন আজম খান স্মরণে, সামাজিক সুরক্ষা দূরত্ব মেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে ‘গুরু তোমায় সালাম’ ব্যানারে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়।
হতদরিদ্র হাজারো মানুষের মাঝে খাবার বিতরণকারী ‘করোনাযুদ্ধা’ ও ডাকসু সদস্য তানভীর হাসান সৈকতের উদ্যোগে এ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়।
এতে গান পরিবেশন করেন অর্জন ব্যান্ডের লালন মাহমুদ, কৃষ্ণপক্ষের ইয়াছির আরাফাত রুবেল।
তারা গেয়ে শুনান, ওরে সালেকা ওরে মালেকা, রেল লাইনের ওই বস্তিতে, আসি আসি বলে তুমি আর এলে না, আলাল ও দুলালসহ বেশ কয়েকটি গান।
অনুষ্ঠানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী জন্মগ্রহন করেন আজম খান। তার প্রকৃত নাম ছিলো মাহবুবুল হক খান। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সালের ৫ জুন পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নেন।