লিফট আতঙ্কে হাবিপ্রবি’র শিক্ষার্থীরা


Desk report | Published: 2022-05-31 07:07:10 BdST | Updated: 2024-05-21 17:51:06 BdST

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‌‘লিফট আতঙ্ক’ বিরাজ করছে। রোববার (২৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ ভবনের দুটি লিফট হঠাৎ কাজ করা বন্ধ করে দিলে লিফট দুটিতে আটকে পড়েন ২ জন শিক্ষার্থী। ১৫ থেকে ২০ মিনিট আটকে থাকার পর লিফট দুটি পুনরায় রিস্টার্ট করার মাধ্যমে সচল করা হয় এবং শিক্ষার্থীরা সুস্থভাবে বের হয়ে আসেন।

এদিকে, এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ।

লিফটে আটকে পড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহফুজা পারভিন বলেন, ‘ক্লাস শেষে ওয়াজেদ ভবনের ৫ম তলা থেকে নিচতলায় নামার জন্য লিফটে উঠি। আমারা লিফটে মোট দুজন ছিলাম। লিফটটি ৫ম তলা ও ৪র্থ তলার মাঝামাঝি এসে আটকে পড়ে এবং তখন আর কোনো কাজ করছিল না। সেসময় আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি এবং ভয় হচ্ছিল লিফট ছিঁড়ে যেন আবার নিচতলায় পড়ে না যায়। আমরা লিফটে থাকা হেল্প বাটনে ক্লিক করলে বাইরে এলার্ম বেজে ওঠে এবং খোঁজ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেখানে চলে আসে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় আমরা লিফটে ৩০ মিনিটের মতো আটকে ছিলাম। সেই সময়টা মনের মধ্যে অনেক ভয় কাজ করছিল। লিফট থেকে নেমে শুনতে পাই আমাদের পাশের লিফটটিও আটকে পড়েছিল। লিফটে তদারকি আরও ভালো চাই। এখানে লিফটম্যান থাকলে ভালো হয়। ’

প্রত্যক্ষদর্শী একজন শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের লিফট সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়া আমাদের জন্য আতঙ্কের কারণ। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। আমরা লিফট সার্ভিস আরও ভালো চাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো লিফট আটকে পড়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। লিফট সিস্টেম হ্যাং হওয়ার কারণে সাময়িক সময়ের জন্য লিফট দুটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।’

শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রিস্টার্ট দেওয়ার মাধ্যমে পুনরায় লিফট দুটি কাজ করতে শুরু করে এবং এরপর তারা সুস্থভাবে বের হয়ে আসেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি দুই মাস পরপর লিফট দুটি সার্ভিসিং করা হয়। তারপরও কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তা খুঁজে বের করা হবে। আমি ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার সাথে কথা বলবো এবং এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’