১৫ দিনের মধ্যে বেরোবিতে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ


বোরোবি টাইমস | Published: 2017-10-18 14:43:19 BdST | Updated: 2024-05-21 16:58:33 BdST

নিয়োগ বোর্ড কর্তৃক মনোনীত এবং সিন্ডিকেট সভার সুপারিশকৃত বেগম রোকেয়া বিশবিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে স্থায়ী প্রভাষক পদে মো. মাহমুদুল হককে নিয়োগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

গত রোববার (১৫ অক্টোবর) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ১৫ দিনের মধ্যে আদালতের এ আদেশ পালন করতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বোর্ড কর্তৃক মনোনীত এবং সিন্ডিকেট সভার সুপারিশে অপেক্ষমাণ তালিকায় ওই পদে নিয়োগের জন্য প্রথম আবেদনকারী মো. মাহমুদুল হকের এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।

রিট আবেদন সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১৩ জানুয়ারি বেরোবির ২১তম সিন্ডিকেট সভায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে তিনজন শিক্ষককে প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। যদি কোনো প্রার্থী যোগদান না করেন সে ক্ষেত্রে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে মেধাক্রম অনুসারে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু নিয়োগ বোর্ড ও সিন্ডিকেট সভায় মনোনীত নিয়োগের জন্য তিনজনের মধ্যে প্রথমজন আবদুল কাদের মণ্ডল ওই পদে চাকরিতে যোগদান করেননি।

এমতাবস্থায় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে চাকরি প্রার্থী সিন্ডিকেট সভায় মনোনীত প্রথম মো. মাহমুদুল হক নিয়োগ পাওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবদুল মিয়া অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করেন। তিনি অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা প্রথমজনকে ডিঙ্গিয়ে ওই তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যক্তিকে অস্থায়ী ভিত্তিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেন। যা ২২তম সিন্ডিকেট সভায় তিনি অনুমোদন করিয়ে নেন।

পরে সিন্ডিকেট সভায় ও নিয়োগ বোর্ডের মনোনীত প্যানেলের প্রথম স্থানে থাকা মো. মাহমুদুল হকের করা রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট শিক্ষক নিয়োগে অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করায় ওই শিক্ষক পদের নিয়োগ তিনমাসের জন্য বন্ধ ও আবেদনকারীর জন্য সংরক্ষণ করার আদেশ দেন। ফলে বিভাগটির শিক্ষক নিয়োগ জটিলতা দেখা দেয়।

এমএস/ ১৮ অক্টোবর ২০১৭