রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবি


বেরোবি টাইমস | Published: 2017-11-16 16:30:10 BdST | Updated: 2024-05-21 14:34:01 BdST

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীরের অপসারণ চেয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান-এর চেতনা, আদর্শ ও মূল্যবোধে উজ্জীবিত শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে তিনটায় নীল দলের সভাপতি ড. শফিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি উপাচার্যের পিএস আমিনুর রহমানের কাছে দেয় দলটি।

উপাচার্যের পিএস আমিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাড়ে তিনটায় নীল দল থেকে আমাকে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়। পরে আমি সেটি উপাচার্যের কাছে দেই।

স্মারকলিপিতে রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীরের বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ এনে বলা হয়, তিনি বরাবরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরণ করেন।

বুধবার বেলা পৌনে ১১টায় ক্যাম্পাসে সিসি টিভি উদ্বোধনের পর সহকারী প্রক্টর ও বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শফিকুর রহমানের সাথে রেজিস্ট্রার অসদাচারণ করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে ড. শফিকুর রহমানও উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।

স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই শিক্ষকবৃন্দের সাথে অশোভন আচরণ করতে থাকেন। তার এহেন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শিক্ষকরা বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ করলেও তিনি তার অশোভন আচরণ অব্যাহত রেখেছেন। উপাচার্য কর্তৃক যথাযথ প্রক্রিয়ায় অনুমোদনের পরও বিভিন্ন দাপ্তরিক চিঠি ইস্যুতে বিলম্ব করে তিনি নানাবিধ সঙ্কট সৃষ্টির অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন। শিক্ষকদের ছুটি, এনওসি, প্রত্যায়নপত্র ও অভিজ্ঞতার সনদসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় চিঠিপত্র ইস্যুর ক্ষেত্রে নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেই চলেছেন।

বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরিতে বসবাস করছেন। অথচ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন রিকুইজেশন ছাড়াই ব্যক্তিগত কাজে যত্রতত্র ব্যবহার করছেন। এভাবে নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরিবহন ব্যবহার করায় রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় হচ্ছে। তার চুক্তিভিত্তিক চাকরির ১১টি শর্তের কোথাও সার্বক্ষণিক গাড়ি ব্যবহারের কোন কথাই উল্লেখ নেই। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পূর্বে তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থ ও হিসাব শাখার পরিচালক থাকাকালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের তোয়াক্কা না করে একক সিদ্ধান্তে প্রভাষক পদ থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে যোগ্যতা অর্জনের তারিখ থেকে প্রদেয় সুবিধা নিয়মসিদ্ধ নয় উল্লেখ করে চিঠি দিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে তার সেই চিঠির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় গভীর সঙ্কটে পড়েছিল বলেও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।

এসএম/ ১৬ নভেম্বর ২০১৭