বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এক কর্মকর্তার কাছ থেকে মোটরসাইকেল জিম্মি করে ছাত্রলীগের তিন নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার পরিষদ ও পাশ্ববর্তী বয়ড়া ইউনিয়ন চেয়্যারমানের হস্তক্ষেপে রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে মোটরসাইকেলটি ফেরত দিতে বাধ্য হয় ছাত্রলীগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড় থেকে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মো. মেহেদী হাসান রাসেলের কাছ থেকে কিছু সময়ের জন্য মোটরসাইকেলটি নেয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন ও শামীম আকরাম। রাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদীয় এনাটমি এন্ড হিস্টোলজি বিভাগের সেকশন অফিসার হিসেবে কর্মরত। পরের দিন শনিবার রাত ৮ টার দিকে কামাল রঞ্জিত মার্কেটে (কে.আর) মোটরসাইকেলটি ফেরত না দিয়ে রাসেলের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতিকুর রহমান আতিক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আকরাম।
এসময় ছাত্রলীগের সিনিয়র-জুনিয়র মিলে চাঁদার বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রাসেলকে জানায়। তখন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায় ভুক্তভোগী রাসেল। এরপর সে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার পরিষদ ও বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়্যারমান আব্দুল মালেকের (রাসেলের আত্মীয়) সরণাপন্ন হয়। পরে তাঁদের সহযোগিতায় রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে জব্বারের মোড়ে মোটরসাইকেলটি ফেরত দিতে বাধ্য হয় ছাত্রলীগের ওই নেতারা।
এবিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে ওই নেতারা বলেন, রাসেল আমাদেরই বড় ভাই । ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানের কারণে মোটরসাইকেলটি নিয়েছিলাম। পরে সে মোটর সাইকেলটি এক জুনিয়র নিয়ে যাওয়ায় তৎক্ষণাৎ ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়নি। চাঁদার চাওয়ার বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান তারা।
অভিযোগের বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সবুজ কাজী ও সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রুবেল বেশ কয়েকবার ফোন দেওয়া হলে তাঁরা কেউই ফোন ধরেননি।
এইচজে/ ১৪ জানুয়ারি ২০১৮
