ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত নিয়োগ বোর্ড স্থগিত


টাইমস প্রতিবেদক | Published: 2018-07-10 14:32:41 BdST | Updated: 2024-05-05 07:33:47 BdST

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের বিতর্কিত শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড স্থাগিত করেছে প্রশাসন। সোমবার (০৯ জুলাই) রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগেও নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ফাঁস, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা, ইউজিসির তদন্ত কমিটি, চাকরি প্রত্যাশী ছাত্রলীগ কর্মীদের বাধাসহ বিভিন্ন কারণে একাধিকবার উক্ত বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড স্থগিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণবশতঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করা হলো। উক্ত বোর্ডের পরিবতির্ত সময় ও তারিখ পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে।

জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর ওই বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রশাসন। পরের বছর ২৬ জানুয়ারি শিক্ষক নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের তারিখ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার। পরে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে বোর্ড স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। ওই সময় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি ছিলেন ড. রুহুল আমীন। পরে জাতীয় গণমাধ্যেমে সভাপতি রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে (থ্রি ফাস্ট ক্লাসে ১২, ফোর ফাস্ট ক্লাসে ১৫) শিরোনামে নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ফাঁসের সংবাদ প্রকাশিত হয়। অডিওতে রুহুল তার বন্ধু এশিয়ান ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুল হাকিমের সঙ্গে ১০ মিনিট নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে কথা বলেন। পরে পুনরায় শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে স্থগিতাদেশ প্রদান করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

একই সঙ্গে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ও ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. এম শাহ নেওয়াজকে আহ্বায়ক করে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে ইউজিসি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তদন্তে আসেনি বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে কোনো প্রতিবেদনও জমা দেয়নি। বর্তমান কর্তৃপক্ষ পুনরায় ওই বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের তারিখ ঘোষণা করে। কিন্তু সোমবার তা আবারও স্থগিত করে প্রশাসন।

এদিকে বিশ্বদ্যিালয়ের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক বলেন, ওই বিভাগে সম্প্রতি নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনাসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে প্রশাসন চাপে থাকায় বোর্ড স্থগিত করেছে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরিণ কিছু সমস্যা থাকায় শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করা হয়েছে।

টিআই/ ১০ জুলাই ২০১৮