জবি ছাত্রদলের পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ


Desk report | Published: 2023-10-26 14:01:44 BdST | Updated: 2024-05-19 08:46:27 BdST

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী জিয়া উদ্দিন বাসেতের মুক্তির দাবিতে প্রায় এক যুগ পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন অনুষদগুলোতে দলীয় পোস্টার সাঁটিয়েছিল জবি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয়। ছাত্রদলের অভিযোগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছেন।

তবে ছাত্রলীগ বলছে, ছাত্রদলের কে বা কারা কখন পোস্টার সাঁটিয়েছে এটা তাদের জানা নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীরাও এসব পোস্টার ছিঁড়ে ফেলতে পারেন।

ছাত্রদল নেতাকর্মীরা জানান, বুধবার সকালে ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাসেতের মুক্তির দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক এবং কলা অনুষদসহ বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার সাঁটান শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তবে, কয়েকঘণ্টা পরই পোস্টারগুলো কে না কারা ছিঁড়ে ফেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় শতাধিক পোস্টার সাঁটানো হলে বর্তমানে দু-একটি জায়গা ছাড়া কোথাও পোস্টারগুলোর অস্তিত্ব নেই।

প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে ছাত্রদলের রাজনীতি নেই বললেই চলে। বর্তমান কমিটির মেয়াদ এরই মধ্যে শেষ হলেও এক মুহূর্তের জন্যও ক্যাম্পাসে ছাত্রদল প্রবেশ করতে পারেনি। তবে, প্রায় এক যুগ পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে পোস্টার সাঁটান শাখা ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে জবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহিয়ান বিন হক অনিক, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী জিয়া উদ্দিন বাসেতের মুক্তির দাবিতে আমরা ক্যাম্পাসে পোস্টার সাঁটানো কার্যক্রম করেছি। তবে, অবাক হয়েছি যে সামান্য এই কর্মসূচিকেও ছাত্রলীগ সহ্য করতে পারছে না। সাধারণ ছাত্রদের কাছে ছাত্রদল যাতে না ঘেঁষতে পারে এ জন্যই ছাত্রলীগের কর্মীরা এসব কাজ করছে। তাদের এ ভয়ই তাদের পতন ডেকে আনবে।

ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সোলায়মান খান সাগর বলেন, প্রায় অনেক বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আমরা কোনো বাধা ছাড়াই পোস্টারিং করতে পারলেও তা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। আমরা ছাত্রলীগের রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত এ আচরণের নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে ছাত্রদল নেতা বাসেতের মুক্তির দাবি জানাই।

পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এখন পূজার জন্য বন্ধ। ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে না। সবাই ছুটিতে বাড়িতে। যেহেতু ক্যাম্পাসে কেউ নেই তাই এমন কর্মকাণ্ড ছাত্রলীগের কেউ করে নেই। বর্তমানে লাইব্রেরিতে কিছু শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের বিএনপি যে তাণ্ডব চালিয়েছিল তার প্রতি ক্ষোভের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এমন করতে পারে।