বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা, গ্রীষ্মে ৩ হাজার মেগাওয়াট ঘাটতির শঙ্কা


ডেস্ক রিপোর্ট | Published: 2025-04-16 15:06:44 BdST | Updated: 2025-04-30 05:49:55 BdST

গ্রীষ্মে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে লোডশেডিং মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ। বিদ্যুৎ বিভাগ ১৮ হাজার মেগাওয়াট সর্বোচ্চ চাহিদা ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির আমদানি নির্ভরতায় চাহিদামত সরবরাহ নিয়ে শঙ্কায় বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এবার ৩ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে।

চলতি বছর গ্রীষ্মের শুরুতেই ১৩ এপ্রিল রোববার সন্ধ্যায় বিদ্যুতের চাহিদা দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৩৮০ মেগাওয়াটে। উৎপাদন কম থাকায় লোডশেডিং হয় ৯২ মেগাওয়াট। শনিবার সকালে ঝাড়খন্ডের আদানি কেন্দ্রের কারিগরি ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়। সেদিন বিকেলে ১৪ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে লোডশেডিং করতে হয় ৪২৮ মেগাওয়াট।

বিজ্ঞাপন

বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে চাহিদা দাঁড়াতে পারে ১৮ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত। তাই লোডশেডিং এড়াতে শীতাতপ যন্ত্রের ব্যবহারে রাশ টানায় জোর দিয়েছেন বিদ্যুৎ উপদেষ্টা।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, এসি ১৮ বা ১৯– এ না রেখে ২৪–২৫ এ ব্যবহার করলে বিদ্যুতের লোড কমে যাবে। এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

আদানির কেন্দ্রসহ ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে ১৭ শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আমদানি কমায় চাপ বেড়েছে বাড়তি দামের তরল জ্বালানির বিদ্যুতে। গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলো থেকে আসছে সাড়ে ৫ হাজার মেগাওয়াটের মত। কয়লা থেকে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার, দিনের বেলায় সৌরবিদ্যুৎ মিলছে ৫ থেকে ৭'শ মেগাওয়াট পর্যন্ত।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইজাজ হোসেন বলেন, সর্বোচ্চ যেটি বলি, এটা এপ্রিলের শেষের দিকে। এবার এপ্রিলের শেষের দিকে কতখানি গরম পড়বে তার ওপর নির্ভর করবে যে আমরা কতখানি চাপে থাকবে। আমরা মনে করি এটা ৩ হাজার মেগাওয়াটও হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে বেসরকারি খাতের আইপিপিগুলোর কাছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বকেয়া এখনো ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।এতে তাদের জ্বালানি আমদানির সক্ষমতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।