ইসরায়েলি হামলার পর এক জিম্মির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হামাসের


ডেস্ক রিপোর্ট | Published: 2025-04-16 15:09:59 BdST | Updated: 2025-05-02 19:42:37 BdST

গাজায় জিম্মি থাকা ইসরায়েলি-আমেরিকান এক সেনার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের। এডান আলেকজান্ডার নামের ওই জিম্মিকে যেখানে রাখা হয়েছে সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী সম্প্রতি হামলা চালায়। হামলার পর থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে হামাস। হামাসের মুখপাত্র আবু ওবায়দার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

গতকাল মঙ্গলবার হামাসের মুখপাত্র আবু ওবায়দা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এডান আলেকজান্ডারের অবস্থানে সরাসরি হামলার পর থেকে আমরা যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছি। আমরা এখনো সেখানে থাকা দলটির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।’

বিজ্ঞাপন

তবে কখন থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, সে বিষয়ে হামাস কিছু বলেনি। এমনকি এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণও দেয়নি। আর ইসরায়েল বরাবরই বলে আসছে, বন্দীরা থাকতে পারে এমন স্থানে হামলা থেকে বিরত থাকে তাঁরা।

গত সপ্তাহে ইসরায়েলের দেওয়া ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের প্রথম দিনই ২১ বছর বয়সী সেনা এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তির দাবি জানানো হয়েছিল। তবে যুদ্ধবিরতির সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। হামাস এক ভিডিও বার্তায় জানায়, যদি ইসরায়েল অভিযান চালাতে থাকে, তাহলে বাকি জিম্মিদের মরদেহই শুধু ফেরত যাবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৫৯ জন গাজায় রয়েছে এবং ২৪ জন বেঁচে আছেন। এদের মধ্যে পাঁচজন আমেরিকার নাগরিক, যার মধ্যে আলেকজান্ডার একমাত্র জীবিত ছিলেন বলে ধারণা করা হয়।

এ বছরের শুরুতে দুই মাসের যুদ্ধবিরতিতে হামাস ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল, বিনিময়ে ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি ইসরায়েল এবং গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয়। যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা সফল না হওয়ায় ১৮ মার্চ থেকে গাজায় অভিযান জোরদার করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘ ১৮ মাসের ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে। আর আহত ১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি।

বিজ্ঞাপন