
আমেরিকার পণ্যে ফের শুল্ক বাড়িয়েছে চীন। আজ শুক্রবার দেশটি জানায়, আমেরিকা থেকে চীনে রপ্তানি করা পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। আগামীকাল শনিবার থেকে এই শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এর আগে একই শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকাও। তবে আগের ২০ শতাংশ মিলে চীনের ওপর তাদের শুল্ক এখন ১৪৫ শতাংশ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, গত ২ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই ঘোষণাপত্রে দেখা যায়, চীনা পণ্যের ওপর তিনি ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। আগের ২০ শতাংশ মিলিয়ে হয় ৫৪ শতাংশ। ট্রাম্পের এই অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়ে চীন সরকার মার্কিন পণ্যের ওপরেও পাল্টা ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে।
চীন সরকারের এই পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি গত সোমবার তাঁর নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘মঙ্গলবারের মধ্যে চীন যদি অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা প্রত্যাহার না করে, তাহলে চীনা পণ্যের ওপর আরও অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।’ অর্থাৎ চীনা পণ্যের ওপর সর্বমোট ১০৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে।
কিন্তু ট্রাম্পের হুমকি আমলে নেয়নি চীন এবং শুল্ক আরোপের ঘোষণা প্রত্যাহারও করেনি। ফলে মঙ্গলবারের পর বুধবার থেকে কার্যকর হয় চীনা পণ্যের ওপর আমেরিকার ১০৪ শতাংশ শুল্ক। আর এর জবাবে চীনও শুল্ক আরও ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ করে।
এরপর বুধবার আগামী ৯০ দিনের জন্য নতুন শুল্কনীতি স্থগিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে চীন ছাড়া সকল দেশের জন্য এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এসব কথা বলেন ট্রাম্প। পোস্টে ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন, চীনের পণ্যের ওপর এবার ১২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ হবে। সেই শুল্ক আগের শুল্কের সঙ্গে যুক্ত করে ১৪৫ শতাংশ হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
এবার চীন মোট ১২৫ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দিল। তবে এই শুল্ক-শুল্ক খেলায় আর সামনে এগিয়ে যেতে চাইছে না চীন।
বেইজিং জানিয়েছে, আমেরিকা চীনা পণ্যে আবার শুল্ক বাড়ালেও তারা আর বাড়াবে না। আমেরিকার আরোপ করা ‘অস্বাভাবিক উচ্চ শুল্ক আন্তর্জাতিক ও অর্থনৈতিক বাণিজ্য নিয়ম, মৌলিক অর্থনৈতিক আইন এবং সাধারণ জ্ঞানের গুরুতর লঙ্ঘন এবং সম্পূর্ণরূপে একতরফা হুমকি ও বলপ্রয়োগ।