ব্রেকআপ বা বিচ্ছেদ সুখকর কোনো অভিজ্ঞতা নয়। কারও কারও ক্ষেত্রে এটি অনেক বেশি কষ্টকর হতে পারে। এসময় অনেকেই ভেঙে পড়ে, নিজের করণীয় সম্পর্কে বুঝতে পারে না। একটি সম্পর্ক পুরোপুরি ভেঙে যাওয়ার পর তার ক্ষত সারিয়ে ওঠা এবং নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অন্তত ২১ দিন সময় প্রয়োজন। যদিও কারও কারও ক্ষেত্রে পুরো একটা জীবন লেগে যেতে পারে, তবে তা তুলনামূলক অনেক কম। বেশিরভাগ ভুক্তভোগীর জন্য প্রয়োজন পড়ে অন্তত ৩ সপ্তাহ। কেন এই ২১ দিন সময় নেওয়া প্রয়োজন? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
শোক প্রকাশের জন্য
ব্রেকআপের পরে নিজেকে শোক করার সময় দেওয়া জরুরি। নিজেকে বিচ্ছেদ সম্পর্কিত আবেগ অনুভব করতে দিলে নিরাময় প্রক্রিয়া সহজ হয়। নিজেকে এই সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে আপনি ক্ষতি, দুঃখ এবং হতাশার অনুভূতি অনুভব করতে পারবেন। এই অনুভূতিই আপনাকে সহজ হতে সাহায্য করবে। শোক পালন করার মানে হলো সম্পর্কটি শেষ হয়ে তা মেনে নেওয়া। এটি আপনাকে জীবনের পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে এবং প্রাক্তনকে ছাড়াই নতুন বাস্তবতার লড়াইয়ে সাহায্য করবে।
আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য
শোক, দুঃখ এবং এমনকি রাগের অপ্রতিরোধ্য অনুভূতিতে পূর্ণ থাকে ব্রেকআপ বা বিচ্ছেদ। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার জন্যসময়ের প্রয়োজন হয়। হুট করেই সব কাটিয়ে ওঠা যায় না। সম্পর্ক থেকে দূরত্ব আপনাকে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিতে পারে। কী ভুল হয়েছে এবং আপনি অভিজ্ঞতা থেকে কী শিখতে পারেন সে সম্পর্কে ধারণা পেতেও সহায়তা করতে পারে। এটি আপনাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে।
রিবাউন্ড সম্পর্কে জড়ানো এড়াতে
ব্রেকআপের পরপরই তাড়াহুড়ো করে একটি নতুন সম্পর্কে জড়ানোকে রিবাউন্ড সম্পর্ক বলা হয়। এটি আপনার পাশাপাশি আপনার পরবর্তী সঙ্গীর জন্যও কিছুটা অবিবেচক সিদ্ধান্ত হতে পারে। এটি স্বীকার করতেই হবে যে আপনার প্রাক্তন সঙ্গীর সঙ্গে একটি মানসিক সংযোগ ছিল। সেগুলো পুরোপুরি রূপে ভুলে যাওয়ার জন্য হলেও আপনার কিছুটা সময় প্রয়োজন।
কী চান তা বুঝতে
আপনি আসলে কী চান তা বোঝার জন্য ব্রেকআপের পরে সময় নেওয়া প্রয়োজন। সম্পর্ক শেষ হলে তা আত্মদর্শন এবং আত্ম-আবিষ্কারের সুযোগ দেয়। নিজেকে প্রতিফলিত করার জন্য সুযোগ এবং সময় দেওয়া জরুরি। ভবিষ্যতের সম্পর্কের জন্য আপনার চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। এই সময় পূর্ববর্তী সম্পর্কের ক্ষেত্রে কী ভুল হয়েছে এবং কীভাবে এটি ঠিক করা যেতে পারে তাও বুঝতে পারবেন।
আত্মসম্মান ফিরে পেতে
ব্রেকআপের পরে আত্মসম্মান ফিরিয়ে আনা জরুরি। বেশিরভাগ মানুষই এসময় হীনমন্যতায় ভুগতে শুরু করেন। নিজের যত্ন করা, নিজের কাজে মনোযোগ দেওয়া, বন্ধু এবং পরিবারের কাটানোর মতো অভ্যাস আপনার আত্মসম্মান এবং আত্মবিশ্বাস পুনর্নির্মাণে সাহায্য করতে পারে। নিজের ওপর ফোকাস করার জন্য সময় নিন, আপনার প্রয়োজন এবং লক্ষ্যগুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন।