বইমেলায় ধর্মীয় উস্কানিমূলক বই পেলেই ব্যবস্থা


টাইমস অনলাইনঃ | Published: 2019-02-01 01:09:38 BdST | Updated: 2024-05-21 01:09:13 BdST

অমর একুশে বইমেলায় যারা ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক নিষিদ্ধ বই বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমিতে বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি থাকবে এমন বই বিক্রি নিষিদ্ধ রয়েছে। কেউ যাতে এ ধরনের বই বিক্রি করতে না পারে সেজন্য নজরদারি হিসেবে বাংলা একাডেমি সার্ভিলেন্স টিম মাঠে থাকবে। এ ছাড়াও পুলিশও নজরদারি করবে। এ ধরনের বই পেলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বইমেলা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কমিশনার বলেন, ‘অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও ডিএমপি সুদৃঢ়, সম্মিলিত ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে। এবারের বইমেলায় বাংলা একাডেমিতে প্রবেশের জন্য দুইটি এবং বের হওয়ার জন্য একটি পৃথক গেট করা হয়েছে। এ ছাড়াও মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে প্রবেশ এবং বের হওয়ার জন্য তিনটি প্রবেশ ও তিনটি বের হওয়ার গেট করা হবে।’

‘প্রতিটি গেটে আর্চওয়ে থাকবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে আগতদের দেহ তল্লাশি করে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেয়া হবে। এ ছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণের বাইরে বাশের আউটার কর্ডন করা হবে যাতে অপ্রত্যাশিত কোনো ব্যক্তি নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে।’

মেলায় পকেটমার, ছিনতাইকারী রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাদা পোশাকের সদস্যরা কাজ করবে জানিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘মেলা প্রাঙ্গণে থাকবে পুলিশের ওয়াচ টাওয়ার এবং পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকবে পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী-সোয়াট এবং বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।’

লেখক, প্রকাশক ও ব্লগারদের নিরাপত্তা প্রদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো লেখক, প্রকাশক, ব্লগার যদি মনে করে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা প্রয়োজন তাহলে সে পুলিশকে জানাবে। পুলিশ তাদের আলাদাভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে।’

বইমেলাকে ঘিরে সংঘবদ্ধ চক্রের হুমকি রয়েছে কিনা? জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা জঙ্গিদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছি। তাই তাদের সংঘবদ্ধভাবে বড় কোনো ঘটনা ঘটানোর সম্ভাবনা নেই। বিচ্ছিন্নভাবে যাতে কোনো ঘটনা না ঘটে সেজন্য গোয়েন্দারা তৎপর রয়েছে।’

১ ফেব্রুয়ারি থেকে মেলা শুরু হয়ে চলবে মাসব্যাপী। 

অংশ নিচ্ছে ৫২৩টি প্রতিষ্ঠান

এবারের বইমেলায় অংশ নিচ্ছে ৫২৩টি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়াও ১৮০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ জানান, এবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫০টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৬২০টি ইউনিটসহ মোট ৪৯৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭০টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়াও বাংলা একাডেমিসহ ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ২৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ১৮০টি লিটলম্যাগকে ১৫৫টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২৫টি স্টলে ২টি করে লিটল ম্যাগাজিনকে স্থান দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্টল পেয়েছে অন্য ১৩০টি প্রতিষ্ঠান।