নুডুলস খেয়েও দিন কাটিয়েছি

হলের খাবারে লবন মরিচ থাকেনা, কত না খেয়ে থেকেছি: শোভন


ঢাবি টাইমস | Published: 2019-01-17 06:39:16 BdST | Updated: 2024-09-29 03:10:09 BdST

বাংলাদেশ দিনদিন নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করা সম্ভব। ছাত্রলীগ ডাকসু নির্বাচনে আন্তরিক। আজ বুধবার ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রলীগের আয়োজিত ‘স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য’ সমাবেশে এসব কথা বলেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। এখনো ডাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা হয়নি বলেও জানান তিনি।

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর পর হাইকোর্টের নির্দেশে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা চলছে। ছাত্রলীগসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনও এ বিষয়ে আন্তরিক। প্রশাসনও এ বিষয়ে আন্তরিক। তাই আমরা ডাকসু নির্বাচন চাই। তবে এ বিষয়ে এখনো নেত্রীর সাথে কোন কথা বলিনি। তাঁর সাথে কথা বলে আমরা কিভাবে কী করবো এবং অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সাথে আলোচনা করে রোডম্যাপ ঠিক করবেন বলে জানান তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনসহ বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

সমাবেশে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সিটের নিশ্চয়তা দেয় না। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পড়ালেখা করে এসেছে অথচ তারা কোথায় থাকবে তার কোন ঠিক-ঠিকানা নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। আজ যখন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা এসেছে আমাদের কথা ছিল ওদেরকে আমরা বর্ণাঢ্য নবীন বরণ দেব, ওরিয়েন্টেশন করব, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত করব। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হল সাত হাজার মেধাবী শিক্ষার্থী এসেছে; বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কোন দায়িত্ব নেয় না। আপনাদের আবাসন সংকটের উপর ভিত্তি করে, সিট দখলের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজনীতি করতে চায় না।’

এর আগে স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে ১৪টি দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। দাবির পক্ষে আজ বুধবার ক্যাম্পাসে মিছিল ও সমাবেশ করেন সংগঠনটি। ছাত্রলীগের দাবিগুলো হলো, অনতিবিলম্বে ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা, বিশ্বের সর্বাধুনিক কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ, ক্যাম্পাসে গণপরিবহন নিয়ন্ত্রণ ও রিকশা ভাড়া নির্ধারণ, গবেষণা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ প্রদান, ‘সান্ধ্যকালীন কোর্স’ নিয়ে বিচার বিশ্লেষণের জন্য ‘শিক্ষা কমিশন’ গঠনের মাধ্যমে প্রতিবেদন তৈরি ও বাস্তবায়ন, ক্যান্টিনের খাবারের মান যথোপযুক্ত করা, অযৌক্তিকভাবে বর্ধিত সকল পরীক্ষা ফি প্রত্যাহার, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য রুট বৃদ্ধি ও পর্যাপ্ত পরিবহনের মাধ্যমে যাতায়াত সমস্যার স্থায়ী সমাধান, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে বর্ণাঢ্য নবীনবরণ প্রদান ও আবাসন সংকটের আপৎকালীন সমাধানের জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ অধ্যয়ন ইনস্টিটিউট’ নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী স্মরণে ‘আন্তর্জাতিক সেমিনার’ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি গ্রহণ।