জুলাই আন্দোলনকারী দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার, বিইউপিতে বিক্ষোভ


Sadiqur Rahman Sadi | Published: 2025-01-05 22:53:21 BdST | Updated: 2025-01-19 23:15:00 BdST

 

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থী ও দণ্ডপ্রাপ্ত ৬ শিক্ষার্থীর শাস্তি প্রত্যাহারসহ দুই দফা দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এই দাবি জানান তারা।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীদের পেশকৃত দুই দফা দাবি হলো, অনতিবিলম্বে ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থীর উপর অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেয়া সবধরনের শাস্তি প্রত্যাহার করতে হবে এবং ১৮ জুলাই পুলিশ-ছাত্রলীগ দ্বারা বিইউপি শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচার করতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, বৈষমাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করার কারণে ১৬ জুলাই থেকেই শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাধা প্রদান করে আসছিল। সে সময় স্বৈরাচারের মদদপুষ্ট ভিসি, রেজিস্ট্রার ও হল প্রভোস্টের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বাধ্য করা হয় এবং আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের হলের সিট বাতিলের হুমকি দেয়া হয়। এমনকি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া সকলের উপর গোয়েন্দা সংস্থা এবং বিইউপি সিকিউরিটি সেল থেকে লোকজন এসেও স্বশরীরে হুমকি দেয়, যার প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে জানা যায়।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, যে ৮ জনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে সেটার না আছে কোনো মোর‌্যাল গ্রাউন্ড, না আছে কোন লিগ্যাল গ্রাউন্ড। শুধুমাত্র বিইউপির ভিসির একক ইচ্ছার প্রতিফলন এই অন্যায্য শাস্তি। জুলাই আগস্টে তার ভূমিকা খুনি হাসিনার পক্ষে ছিল। এরকম অন্যায়, অযৌক্তিক শাস্তি দিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অস্থিতিশীল হবে, যেটা কোনভাবেই কাম্য নয়। আমরা আজ এই অন্যায্য শাস্তির বিরুদ্ধে এখানে সমবেত হয়েছি। অনতিবিলম্বে এ শাস্তি বাতিল চাই।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ-ছাত্রলীগের দ্বারা বিইউপি শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার বিচার, সেমিস্টার ফি কমানো, কোটার যৌক্তিক সংস্কারসহ ৯ দফা দাবিতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়াই সম্প্রতি দুই শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি আরও ৬ শিক্ষার্থীকে আর্থিক দণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়।

শাস্তি পাওয়া ৮ শিক্ষার্থীই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ‘স্বৈরাচার’ বিরোধী আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন এবং কয়েকজন নেতৃস্থানীয় ছিলেন বলে জানা গেছে।