ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রস্তুতে অসততা

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষককে অব্যাহতি


সরকার আব্দুল্লাহ তুহিন | Published: 2017-08-13 23:46:25 BdST | Updated: 2024-05-13 16:19:53 BdST

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) সাত শিক্ষককে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে অসততা, পারস্পারিক সমন্বয়হীনতা, দায়িত্বে অবহেলা ও উদাসীনতার জন্য ভর্তি পরীক্ষা কমিটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ
সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

সিন্ডিকেটের সদস্য সচিব রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) ড. হুমায়ুন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন- ‘ক’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক মাহবুব হোসেন, সদস্য ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক বিজয় ভূষণ দাস, অধ্যাপক মোঃ ইমদাদুল হুদা, সহকারী অধ্যাপক রায়হানা আক্তার এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক মোঃ সাহাবউদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ হাবিব-উল- মাওলা, সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস।

বিশ্ববিদ্যালয় দপ্তর থেকে জানা যায়, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে ২০১৫-১৬ সেশনে অনুষ্ঠিত “ক” ইউনিট ইংরেজি বিষয়ের ৪৯টি প্রশ্নে হুবহু মিল থাকায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ এম এম শামসুর রহমানকে আহ্বায়ক এবং রেজিস্ট্রার আমিনুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।

অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তদন্ত কমিটির সুপারিশক্রমে সিন্ডিকেট সভায় অভিযুক্তদের সতর্ক করে কেবল ভর্তি পরীক্ষায় উপরোক্ত কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীকে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ হতে পরবর্তী ৪ (চার) বছর পর্যন্ত এবং অন্যান্য সদস্যগণকে ৩ (তিন) বছরের জন্য প্রশ্নপত্র প্রণয়নসহ ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকাস্থ লিয়াজো অফিসে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের একটি সভা হয়। সভায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রশ্নপত্র প্রস্তুতে অসততা প্রমাণিত হয়েছে। তাই ৭ শিক্ষককে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরএম/ ১৩ আগস্ট ২০১৭