যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) করোনাভাইরাস পরীক্ষায় যশোর জেলায় আরও ১১ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জেলার ৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করে বুধবার সকালে ওই তথ্য প্রকাশ করা হয়। আরও তিন জেলার ৪৮ নমুনা পরীক্ষায় সবই নেগেটিভ এসেছে।
এ নিয়ে যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে ১০৪ করোনা রোগী শনাক্ত হলো। যশোর জেলায় করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫৫ জন। জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। সোমবার থেকে জেলা লকডাউনে আছে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যবিপ্রবি ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে মঙ্গলবার ১১তম দিনে চার জেলার ১১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এর মধ্যে যশোরের ৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ঝিনাইদহের ৩৩টি নমুনা, নড়াইলের ছয়টি ও মাগুরার ৯টি নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল এসেছে।
তিনি আরও জানান, ল্যাবে একাধিক টিম কাজ করছে। যিনি ফল কম্পাইল করেন, তিনি গত ২৪ ঘণ্টার ফলের সঙ্গে আজকের সকালের ফল যোগ করে পাঠিয়েছিলেন। এ জন্য সংশোধিত ফল দেয়া হয়েছে। আজ শনাক্ত হয়েছে ১১ জন।
এর আগে সোমবার ১০ম দিনে তিন জেলায় ৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এর মধ্যে যশোরের ৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০ জন এবং ঝিনাইদহের ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আটজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া নড়াইলের দুজনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন কোনো রোগী পাওয়া যায়নি।
এর আগে রোববার ৯ম দিনে চার জেলার ৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে যশোরের আটজনের নমুনা পরীক্ষা করে চারজন এবং ঝিনাইদহের ৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে চারজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ ছাড়া নড়াইলের ২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আরও তিন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে মাগুরার ১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন কোনো রোগী পাওয়া যায়নি।
শনিবার ৮ম দিনে চার জেলার ৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৭ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে।
শুক্রবার ৭ম দিনের নমুনা পরীক্ষায় ১২ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হন। এদিন ৫ জেলা থেকে ৯৫টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল।
বুধবার ষষ্ঠ দিনের নমুনা পরীক্ষায় ১২ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হন। এদিন সাত জেলা থেকে ৮৪টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল।
আর মঙ্গলবার ৫ম দিনে যবিপ্রবি ল্যাবে নমুন পরীক্ষায় ১৩ জন কোডিভ-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়।
ফলে এ পর্যন্ত যশোরে ৭০, ঝিনাইদহে ২২, নড়াইলে ১২, চুয়াডাঙ্গায় ছয়জন, মাগুরা ও কুষ্টিয়ায় চারজন করে এবং মেহেরপুরে দুজন রোগী শনাক্ত হলো। যবিপ্রবিতে সাত জেলার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে।
এদিকে অবনতিশীল পরিস্থিতিতে জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সমন্বয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার সকাল ৬টা থেকে যশোরে লকডাউন শুরু হয়েছে।
যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অথচ কোনোভাবেই মানুষকে সরকারি নির্দেশনানুযায়ী শৃঙ্খলার মধ্যে আনা যাচ্ছে না। সে কারণে আরও কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে গোটা যশোর জেলাকে লকডাউন করা হয়েছে।
টিআই/ ২৯ এপ্রিল ২০২০
