
ছাত্রীর যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণ সাপেক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সাবেক সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামানকে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে একই বিভাগের সাবেক আরেক সভাপতি সহকারী অধ্যাপক রুহুল আমীনের ৩ বছর পদন্নোতি ও ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করেছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৬ তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সিন্ডিকেটে তিনটি বিভাগের নাম পরিবর্তনসহ পদোন্নতি ও পিএইচডি ডিগ্রি বিষয়ক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ।
রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সাবেক সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গত ১৬ এপ্রিল ১০ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি তদন্ত কমিটি করে প্রশাসন।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগের অর্থ আত্মসাৎ এবং চলমান পিএইচডি জালিয়াতির অভিযোগ এনে পৃথক তদন্ত কমিটি করে প্রশাসন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই এবং অভিযুক্তর শোকজ উত্তর পর্যালোচনা শেষে আসাদুজ্জামানকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
সেই সঙ্গে একই বিভাগের আরেক সাবেক সভাপতি সহকারী অধ্যাপক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তাকে তিন বছর পদন্নোতি এবং তিনটি ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে কতৃপক্ষ। পাশাপাশি তিনি আগামী ৫ বছর কোনো প্রকার প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্ব অবহেলার কারণে ‘ডি’ ইউনিটের সমন্বয়কারী ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলমসহ ইউনিটের অন্য দুই সদস্যদের সতর্ক করা হয়।
এছাড়া অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের কর্মকর্তা ওয়ালিদুর রহমান মুকুটকে ৭৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে, আইন ও শরিয়াহ অনুষদভুক্ত ‘আইন ও মুসলিম বিধান’ বিভাগের নাম ‘আইন বিভাগ’, একই অনুষদভূক্ত আল-ফিকহ বিভাগের নামের পরিবর্তন করে ‘আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ’ এবং ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত ‘ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর পরিবর্তে ‘ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ট্রিপল ই)’ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নূন্যতম অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না। পাশাপাশি কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তিকে শাস্তি দেয়া হবে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান প্রশাসনের জিরো টলারেন্স।
এমএন/ ২৩ আগস্ট ২০১৭