দুর্নীতির শুনানিতে আসেননি রাবি উপাচার্য


টাইমস প্রতিবেদক | Published: 2020-09-18 17:20:44 BdST | Updated: 2024-09-29 03:47:07 BdST

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি অভিযোগের প্রথম দফা শুনানি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের গঠিত তদন্ত কমিটি। উপাচার্য অধ্যাপক এম. আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া বা প্রশাসনের কেউ শুনানিতে উপস্থিত হননি।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মঞ্জুরি কমিশনের মিলনায়তনে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানিতে ইউজিসির সদস্য ও উপাচার্যের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম ও ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মু. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে অভিযোগকারী শিক্ষকদের প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী, ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মু. আলী আসগর, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক জিন্নাত আরা ও সহকারী অধ্যাপক সোলাইমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

শুনানিতে উপস্থিত ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোলাইমান চৌধুরী বলেন, ইউজিসি গণশুনানিতে উভয়পক্ষকে ডেকে ছিল। সেখানে ত্রিপক্ষীয় শুনানি হবে। কিন্তু প্রশাসনের কেউ উপস্থিত হয়নি। আমরা অভিযোগের দলিলপত্রসহ বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেছি। অভিযোগের প্রমাণসহ ৩০০ পৃষ্ঠার যে অভিযোগপত্র আমরা জমা দিয়েছিলাম, এর বাইরেও কিছু দলিল জমা দিয়েছি।

অধ্যাপক জিনাত আরা বলেন, বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলে শুনানি। আমরা আমাদের অভিযোগের পক্ষে দলিলাদি উপস্থাপন করেছি।

এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আগামী শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য দ্বিতীয় দফা শুনানি হবে।

গত ৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত সংবলিত ৩০০ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) দাখিল করেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশ।

অভিযোগপত্রে মোট ১৭টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়। এতে উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য এবং উপাচার্য কর্তৃক রাষ্ট্রপতিকে ধোঁকা দেয়া ও শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা শিথিল করে উপাচার্যের মেয়ে ও জামাতাকে নিয়োগ দেয়া, এডহক ও মাস্টাররোলে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য, উপাচার্যের বাড়ি ভাড়া নিয়ে দুর্নীতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট, ১৯৭৩ লঙ্ঘন করে বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি নিয়োগ ইত্যাদি অভিযোগ উল্লেখ করা হয়।

পরে প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অভিযোগ তদন্তে ইউজিসি কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কমিটি উভয় পক্ষের বক্তব্য উপস্থাপনে এ উন্মুক্ত শুনানির আয়োজন করা হয়।