বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হেলমেট পরে হলে ঢুকে ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে কুপিয়ে জখম


Desk report | Published: 2023-01-25 04:08:32 BdST | Updated: 2024-04-25 15:21:40 BdST

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শের-ই-বাংলা হলে হেলমেট পরে ঢুকে ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে একদল যুবক।

আহতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত ও লোকপ্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জি এম ফাহাদ। এসময় ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী জিহাদও আহত হন।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ভোরে শের-ই-বাংলা হলের ৪০১৮ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মশিউর রহমান।

আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় সিফাত ও ফাহাদকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। জিহাদের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একই হলের আবাসিক ছাত্র জিয়া বলেন, ফজরের আজানের পর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ ১০-১৫ জন হেলমেট পরিহিত অবস্থায় হলে প্রবেশ করেন। এরপর তারা সব কক্ষ বাইরে থেকে আটকে দেন। পরে তারা ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহম্মেদ সিফাতকে রুম থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে হাতুড়িপেটা করেন এবং জিএম ফাহাদের হাত ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি তাকে কুপিয়ে জখম করেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জিএম ফাহাদ বলেন, ‘হামলাকারীরা সবাই হেলমেট পরিহিত ছিলেন। তবুও তাদের শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের মধ্যে ছিলেন আলিম সালেহী, অমিত হাসান রক্তিম, রিয়াজ মোল্লা ও সৈয়দ জিসান আহম্মেদ। এরা সবাই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাদের।’

হামলার অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ মোল্লা বলেন, ‘সিফাতের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ। তারা সিফাতের অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে তাকে প্রতিহত করেছে বলে আমার ধারণা।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিফাতের ওপর হামলায় যাদের নাম উঠে এসেছে তাদের মধ্যে আলিম সালেহী, সৈয়দ জিসান আহম্মেদ ও রিয়াজ মোল্লা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী। পাশাপাশি অমিত হাসান রক্তিম পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, আহত সিফাতের শরীরে ফোলা জখম রয়েছে। ফরহাদের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার হাতও ভেঙে ফেলা হয়েছে। দুজনকেই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

খবর পেয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আহতরা সুস্থ হলে আরও ভালোভাবে মূল ঘটনা জানা যাবে। হামলাকারী কারা, তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেননি আহতরা। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।