পাবিপ্রবির কর্মকর্তাকে স্যার না ডাকায় ছাত্রী হেনস্থার অভিযোগ


Desk report | Published: 2023-12-06 20:26:03 BdST | Updated: 2024-07-27 08:51:55 BdST

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক কর্মকর্তাকে স্যার বলে সম্বোধন না করায় তিনি রসায়ন বিভাগের এক ছাত্রীকে হেনস্তা করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বিভাগের সকল শিক্ষার্থী। সেই সঙ্গে তারা একটি অভিযোগপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বরাবর জমা দেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানায়। তারা সেই কর্মকর্তার প্রতি কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেন। দাবির মধ্যে রয়েছে, তিনি কর্মকর্তা হয়ে শিক্ষককে কেন ভাই সম্বোধন করতে বলবেন; তাকে ভাই বলে কেন সম্বোধন করা যাবে না; তিনি ৩০ মিনিট পরে আসবেন কথা দিয়ে পরে কেন আসলেন না; যেই শিক্ষার্থীর সামনে স্যারকে ভাই সম্বোধন করতে বলছেন, সেই শিক্ষার্থীসহ বিভাগের সকল শিক্ষার্থীদের ও শিক্ষকদের কাছে ওই কর্মকর্তাকে নম্রতার সহিত ভুল স্বীকার করতে হবে।

ভুক্তভোগী সেই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার একাডেমিক রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সংশোধন করার জন্য শেখ মাহমুদ কাননের (সেকশন অফিসার গ্রেড -২) অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। শেখ মাহমুদ কাননকে ভাই বলায় ওই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কেও ভাই বলতে বলেন। ওই শিক্ষার্থী শিক্ষকদেরকে ভাই বলতে নারাজ হলে বাক-বিতর্কের এক পর্যায়ে তাকে স্যার বলতে বাধ্য করেন। এতে ওই শিক্ষার্থী ভীত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বিভাগের সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগপত্র জমা দেয় রেজিস্টার বরাবর, অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ ডিসেম্বর আমাদের বিভাগের ৩য় বর্ষের ১ম সেমিস্টার এর এক মেয়ে শিক্ষার্থী তার রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সংশোধন করতে রেজিস্টার অফিসের একাডেমিক শাখায় গেলে সেকশন অফিসার শেখ মাহমুদ কানন ওই ছাত্রীকে হেনস্তা করে এবং স্যার বলতে বাধ্য করেন এবং তিনি বলেন তাকে স্যার না বললে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও স্যার বলা যাবে না। ওই ছাত্রী হেনস্তার শিকার হওয়ার কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।

এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের প্রধান ড. মোঃ নাজমুল হোসেনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে অভিযোগপত্র পেয়েছি। উপাচার্য ম্যামের উপস্থিতিতে আগামী শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে অভিযুক্ত কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি, বিষয়টি নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আমার ১২ বছর কর্মজীবনে এমন পরিস্থিতি হয়নি। কারো সাথেই আমি কখনো খারাপ ব্যবহার করিনি করবোও না ইনশাআল্লাহ। বিষয়টা আমি একভাবে বলেছি উনি হয়তো বুঝেছেন অন্যভাবে। তাদেরকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছি।